শেখ আফিল উদ্দীন যশোর-১ (শার্শা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন এবং দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকার সুবাদে জোরপূর্বক সরকারি জমি এবং কিছু অসহায় পরিবারের ব্যক্তিগত জমি দখলে রেখেছিলেন। আওয়ামী লীগের পতনের পর ভুক্তভোগীরা তাদের জমি পুনরুদ্ধারের আশায় প্রশাসনের সহায়তা চান।
২০২৪ সালের ২০ অক্টোবর, শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ড. নাজিব হাসান এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুসরাত ইয়াসমিনের নেতৃত্বে এক বিশেষ অভিযানে ৪১ একর জমি দখলমুক্ত করা হয়।
হরিণাপোতা মৌজার ৫৩ একর সরকারি জমির মধ্যে ৪১ একর জমি দীর্ঘদিন ধরে শেখ আফিল উদ্দীন দখল করে রেখেছিলেন। বিষয়টি নিয়ে কালের কণ্ঠে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নেয়।
জমি উদ্ধার হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
শার্শা উপজেলার রামচন্দ্রপুর এলাকার বাসিন্দা আহসান হাবিব খোকন বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে সরকারি জমি দখলে রেখে সাবেক এমপি আফিলসহ তার লোকজন ভোগ করছিলেন। আজ প্রশাসনের সহায়তায় জমি উদ্ধার হয়েছে।
নাভারন ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাসান জহির বলেন, বিনা ভোটের এমপি শেখ আফিল দীর্ঘদিন ধরে শার্শায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন। তার ক্যাডার বাহিনীর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের জমি জোরপূর্বক দখল এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে সরকারিভাবেও জমি দখলে নিয়েছেন। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ বিষয়ে শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ড. নাজিব হাসান বলেন, জাতীয় পত্রিকায় এই সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি আমাদের নজরে আসে।
সরকারি জমি উদ্ধারের এ উদ্যোগ স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। তারা আশা করছেন, প্রশাসনের এমন পদক্ষেপে শার্শার কৃষি ও মৎস্য খাত নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করবে।
Discussion about this post