সেলিব্রেটিবিডি
সুজি, রূপা, মেহের, ইরা আর মিস সেন। পাঁচ মেয়ের গল্প নিয়ে ছবি। কোনো নায়ক নেই। আগে দুইবার ভূতের ছবি করে সফল হয়েছেন বিরসা দাশগুপ্ত। সেখান থেকে হঠাৎই পাঁচ কন্যাকে নিয়ে ছবি কেন? পরিচালক বলছেন, ‘আমার জীবন নারী পরিবৃত। ছোটবেলা থেকে দেখছি মা সংসার সামলাচ্ছেন, সঙ্গে নিজের কাজের জগতেও স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করছেন। এরপর স্ত্রীকেও দেখছি কিভাবে সব দিক সমান তালে সামলাচ্ছে। যেহেতু দুই মেয়ে আছে, তাই পরের প্রজন্মের নারীদের দেখছি। সব মিলিয়ে মনে হয়েছে, ওম্যানহুড সেলিব্রেট করা উচিত। এই ছবির চরিত্রগুলো দেখে সবাই নিজেদের সঙ্গে রিলেট করতে পারবে।’ ছবিতে পাঁচ নারী চরিত্র—সিঙ্গেল মাদার, মধ্যবিত্ত গৃহবধূ, অভিনেত্রী, আলোকচিত্রী ও শিল্পপতি। সেগুলোতে অভিনয় করেছেন প্রিয়াঙ্কা সরকার, সোহিনী সরকার, নুসরাত জাহান, মিমি চক্রবর্তী আর জয়া আহসান। প্রিয়াঙ্কার সুজি চরিত্রের সঙ্গে তাঁর নিজেরও মিল আছে। কারণ অভিনেতা রাহুলের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তিনি নিজেও একা হাতে ছেলেকে সামলাচ্ছেন। ‘এই চরিত্র করতে গিয়ে বারবারই নিজের কথা মনে হয়েছে,’ বললেন প্রিয়াঙ্কা। মেহের চরিত্রে বাণিজ্যিক ছবির নিয়মিত মুখ নুসরাতের জন্য বিশেষ কিছু। কারণ এই প্রথম নায়ক নেই এমন চরিত্র করছেন তিনি। বললেন, প্রস্তাব পাওয়ার পর পাঁচ নায়িকার ছবি করবেন কি না দ্বিধায় ছিলেন। এত বাস্তবঘেঁষা চরিত্র পেয়ে ‘না’ করতে পারেননি। একই অবস্থা মিমি চক্রবর্তীরও। তিনি করেছেন নারী ফটোগ্রাফারের চরিত্র, যে নিজের কাজের জন্য প্রেমিককেও ছেড়ে দেয়। ছবিতে মধ্যবিত্ত গৃহবধূ সোহিনী। পরিচালকের আগের ছবি ‘সব ভূতুড়ে’তেও যিনি ছিলেন। বলছেন, নারীদের নিয়ে এই ছবিটা সমাজকে একটা বার্তাও দেবে, “আমাদের এখানে কর্মজীবী নারীদের নিয়ে কত রকম যে কথা হয়! কেউ ভাবে চাকরি করা সব নারীকেই বসের সঙ্গে ‘আপস’ করতে হয়। অভিনেত্রীদের পরিচালকদের বিশেষ সুবিধা দিতে হয়। কিছু কিছু সত্যি হলেও এটা একটা ট্যাবু। মেয়েদের নানাভাবে পিছিয়ে দিতেই এগুলো ছাড়ানো হয়। ছবিতে এসব বিষয় নানাভাবে এসেছে। মানুষ দেখলে পাশের বাড়ির গল্প মনে করবে।”
ছবিতে প্রতিষ্ঠিত শিল্পপতি ‘মিসেস সেন’ চরিত্র করেছেন জয়া আহসান। শুরুতে জয়ার চরিত্রটি করার কথা ছিল স্বস্তিকা মুখার্জির। তিনি ছবি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর আসেন জয়া। তবে এ নিয়ে ভাবছেন না জয়া, ‘কার ছাড়া চরিত্র সেটা নিয়ে ভাবি না। অভিনেত্রী হিসেবে দেখি চরিত্রটা আমার পছন্দ কি না।’ কলকাতার গণমাধ্যম এর মধ্যেই জয়াকে তাদের এই সময়ে টালিউডের অন্যতম সেরা অভিনেত্রীর তকমা দিয়েছে। এই ছবিতে জয়ার সঙ্গে অন্য চার অভিনেত্রীর কেমন লড়াই হয় সেটা দেখা যাবে।
‘ক্রিসক্রস’-এর সংগীত নিয়েও বিশেষভাবে বলা উচিত। কারণ বলিউডের বাঙালি সংগীত পরিচালক প্রীতম চক্রবর্তী আছেন এ ছবিতে; যদিও তিনি সরাসরি কাজ করেননি, করেছে তাঁর তৈরি সংস্থা ‘জ্যাম এইট’। এই ছবি দিয়েই গীতিকার হিসেবে অভিষেক হয়েছে সাহিত্যিক স্মরণজিৎ চক্রবর্তীর।
Discussion about this post