পাঠ্যপুস্তক নিয়ে বিশাল ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে না দিয়ে বরং অযথা সময়ক্ষেপণ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিব্রত করতে কলকাঠি নাড়তে চেয়েছিল একটি চক্র। তবে গতকাল রোববার সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের তৎপরতায় গোপন সেই সিন্ডিকেট ভেঙে গেছে। এ বিষয়ে গতকাল রাতে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) এসে মুদ্রণ শিল্প সমিতিরি সিনিয়র ভাইস চেয়রাম্যান মো: জুনায়েদ আল মাহফুজ জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ ও বিতরণের নিয়ন্ত্রক ও তদারক সংস্থা এনসিটিবি শিক্ষার্থীদের হাতে বছরের শুরুর দিনে পাঠ্যবই তুলে দিতে আগে থেকেই ছিল বেশ তৎপর। তবে বিগত আওয়ামী সরকারের দোসর এবং সুবিধাভোগী হিসেবে পরিচিত বিভিন্ন প্রেস মালিক নানাভাবে পাঠ্যবই মুদ্রণ সংক্রান্ত কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করে আসছিল। বিশেষ করে কাগজের কৃত্রিম সঙ্কট এবং ব্যাংক থেকে অর্থ প্রাপ্তির বিষয়েও তারা অপপ্রচার চালাচ্ছিল। এরই মধ্যে গত বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সব পক্ষকে নিয়ে ডাকা বৈঠকে সরকারের পক্ষ থেকে সব প্রতিবন্ধকতা দূর করার আশ্বাস দেয়ার প্রেক্ষিতে প্রেস মালিকরা প্রতিশ্রুতি দেন যে তারা ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রাথমিকের সব বই এবং মাধ্যমিকের মূল তিনটি বই (বাংলা ইংরেজি ও গণিত) তারা দেবেন।
Discussion about this post