গাইবান্ধার সাঘাটায় একটি ইসলামী জলসায় অতিথি হিসাবে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের নাম না থাকাকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছে।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার পল্টন মোড়ে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে গুরুতর আহত বিএনপি কর্মী জাকিরুল ইসলামকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং জামায়াত কর্মী আব্দুল হান্নান ও জাহিদুল ইসলামকে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীদের স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার সরদারপাড়া ইউনিয়নের সরদারপাড়া এলাকায় আগামী ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য একটি ইসলামী জলসায় গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নাহিদুজ্জামান নিশাদকে প্রধান অতিথি করা হয়। এই জলসার প্রচারিত পোস্টারে বিশেষ অতিথি হিসেবে স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের একাধিক নেতৃবৃন্দকে নামও উল্লেখ করা হয়। সভায় অতিথি হিসাবে বিএনপির স্থানীয় নেতাদের নাম উল্লেখ থাকায় স্থানীয় জামায়াত নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তারই সূত্র ধরে আগামী ২৬ ডিসেম্বর স্থানীয় জামায়াত সমর্থক আব্দুল আজিজ ওই এলাকায় আরও একটি ইসলামী জলসার আয়োজন করে। এ সভাতেও গাইবান্ধা জেলার বিএনপির সহ-সভাপতি নাহিদুজ্জামান নিশাদকে প্রধান অতিথি করা হয়। তবে বিশেষ অতিথি হিসাবে স্থানীয় বিএনপির কোনো নেতৃবৃন্দকে রাখা হয় নাই। এই বিষয়টি নিয়ে গত শুক্রবার সাঘাটা বাজারে জামায়াত-বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়।
আরও জানা যায়, একই বিষয় নিয়ে শনিবার দুপুরে সাঘাটা বাজারে আবারও উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষ বাধে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। প্রায় ঘন্টা ব্যাপী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১৩ জন আহত হয়।
সাঘাটা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সেলিম আহমেদ তুলিপ জানান, আমরা বাজারে অবস্থান করছিলাম। হঠাৎ জামায়াতের নেতকর্মীরা সংঘবদ্ধ হয়ে লাঠিসোটা নিয়ে এসে আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে আমাদের ৫-৬ নেতাকর্মী আহত হয়।
সাঘাটা উপজেলা জামায়াতের আমির ইব্রাহিম হোসাইন ও সেক্রেটারি আব্দুল গফুরের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ চেষ্টা করা হলে তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাদশা আলম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। এখন ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী টহল দিচ্ছে।
Discussion about this post