বিশ্বে দূরপাল্লায় চলাচলকারী বৃহত্তম বিমান পরিবহন সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইন ইরাক, ইরান ও জর্ডানে সব ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়েছে। দুবাইভিত্তিক এয়ারলাইনটি বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) এ ঘোষণা দেয়। সে সঙ্গে আজই ওই সব দেশে ফ্লাইট বন্ধ রাখা কার্যকর করে।
এক বিবৃতিতে এমিরেটস এয়ারলাইন বলেছে, আঞ্চলিক অস্থিরতার জন্য তারা এ ধরনের পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তারা বৃহস্পতিবারসহ আগামী ৪ ও ৫ অক্টোবর ইরাক (বসরা ও বাগদাদ), ইরান (তেহরান) ও জর্ডানগামী (আম্মান) সব ফ্লাইট বাতিল করেছে। এ সময় কোনো ফ্লাইট সেসব অঞ্চল থেকে উড্ডয়নও করবে না।
মধ্যপ্রাচ্যের বৃহত্তম এয়ারলাইন এর আগে আগামীকাল শুক্রবার (৪ অক্টোবর) পর্যন্ত দুবাই ও বৈরুতের মধ্যে চলাচল করা সব ফ্লাইট বাতিল ঘোষণা করেছিল। তখন বলেছিল, ইসরায়েলের হামলার কারণে যাত্রীদের নিরাপত্তায় তারা ফ্লাইট বন্ধ রাখছে। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি উন্নতির বদলে আরও ভয়ংকর আকার ধারণ করেছে। ইসরায়েলের বিমান হামলায় ধ্বংস্তূপে পরিণত হয়েছে বৈরুত। সে সঙ্গে নেতানিয়াহুর পদাতিক বাহিনী আর্টিলারি থেকে অবিরাম গোলা ছুড়ে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে বৈরুতের দিকে এগোচ্ছে। অপরদিকে ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি উত্তপ্ত। ফলে শুক্রবারও বৈরুতে এয়ারলাইনটির ফ্লাইট চলাচল করা নিয়ে শঙ্কা থেকে যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, ফের স্থগিতাদেশ জারি করতে পারে তারা।
এর আগে লেবাননের রাজধানী বৈরুতগামী ফ্লাইট স্থগিত করে কাতার এয়ারওয়েজ। এক বিবৃতিতে কাতার এয়ারওয়েজ জানায়, সাময়িকভাবে বৈরুতগামী ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে। এ সময়ে রাফিক হারিরি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাতার এয়ারওয়েজের কোনো ফ্লাইট অবতরণ করবে না এবং সেখান থেকে কোনো ফ্লাইট যাত্রা করবে না। সংস্থাটি বলেছে, ‘আমাদের যাত্রীদের নিরাপত্তা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার’।
এ ছাড়া জার্মানির লুফথানসা, এয়ার ফ্রান্স এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেল্টা এয়ার লাইনসও বৈরুতে ফ্লাইট স্থগিত করেছে। অপরদিকে ইসরায়েল এবং ইরানের কিছু উড়োজাহাজ যাতায়াত করলেও স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
Discussion about this post