নির্মলেন্দু গুণের সূক্ষ্ম ভালোবাসার আকাঙ্ক্ষায় ‘আমি বলছি না ভলোবাসতেই হবে, আমি চাই; কেউ একজন জিজ্ঞেস করুক; আমার জল লাগবে কি না, নুন লাগবে কি না…; কেউ তোয়াক্কা না করে জয় গোস্বামীর মতো ‘একাই থাকব, একাই দুটো ফুটিয়ে খাব’ মুক্ত বিহঙ্গের জীবন পার করতে ভালোবাসেন।
যদি বেছে নিতে বলা হয় আপনি কার দলে যাবেন? নাকি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মতো করে বলেন, ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে’। তাহলে আজকের দিনটি আপনার জন্য। বছরে ৩৫৬ দিনের মধ্যে আজকের দিনটি পালন করা হয় ‘অবিবাহিত’ বা ‘ব্যাচেলর’ দিবস হিসেবে।
সোমবার (১১ নভেম্বর) বিশ্বব্যাপী ‘ব্যাচেলর দিবস’ পালন করা হয়। দিনটি ‘সিঙ্গেল দিবস’ হিসেবে অধিক পরিচিতি পেলেও আদতে এটি ‘ব্যাচেলর দিবস’ নামেই শুরু হয়েছিল।
প্রেম-বিয়ে, ভালোবাসা প্রায় প্রতিটা মানুষের কাছেই কাঙ্ক্ষিত। তবে ব্যাটে-বলে না মেলায় অনেকেই বঞ্চিত থেকে যান এই অনুভূতি থেকে। তাদের কিছুটা সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য হলেও যারা এখনও ভালোবাসার কোনো সম্পর্কে জড়াতে পারেননি, তাদের উদ্দেশ্যেই আজ সারা বিশ্বে পালন করা হচ্ছে বিশ্ব ব্যাচেলর দিবস।
ব্যাচেলর বা সিঙ্গেল মানুষ রোজ, প্রোপোজ, চকলেট, টেডি, প্রমিজ, হাগ, কিস,ভালোবাসা দিবসে মন খারাপ করেন। উদযাপনের কোনো কারণ খুঁজে পান না তারা। তাই আজকের দিনে, একাকিত্বের দুঃখ ভুলে দিনটি উদযাপন করবেন তারা।
আজকের দিনে নিজেকে সময় দিন, নিজের যত্ন নিন। কেননা, দিন শেষে জীবনযুদ্ধে সবাইকে পাশে পান বা না-পান, নিজেকে কিন্তু আপনি কখনোই ছেড়ে যাবেন না। আগলে রাখবেন সবসময়। তাই এক জীবনে মনের মতো কাউকে না পেলে গাঁটছাড়া সম্পর্কে না জড়িয়ে উপভোগ করুন আপনার সিঙ্গেল জীবন।
উল্লেখ্য, ১৯৯৩ সালে চীনের নানজিং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে এটি চালু হয়। তারিখ, ১১ নভেম্বর (১১/১১), বেছে নেওয়া হয়েছিল কারণ সংখ্যা ১ একটি খালি লাঠির মতো, যা একজন অবিবাহিত পুরুষের জন্য চীনা ইন্টারনেট অপশব্দ, যিনি পারিবারিক গাছে ‘শাখা’ যোগ করেন নি। চারটি ‘১’ বিমূর্তভাবে একক লোকের জনসংখ্যাগত গোষ্ঠীকেও নির্দেশ করে। ফলে সব মিলিয়ে এতে আছে চারটি ১১-১১। প্রতিটি এক আসলে একক ব্যক্তির প্রতিনিধিস্বরূপ। অর্থাৎ পাশাপাশি থেকেও যে একা থাকা যায়, ১১ নভেম্বর যেন তা-ই বোঝাচ্ছে।
Discussion about this post