এবার খালিস্তানি স্বাধীনতাকামীদের টার্গেট ভারতের অযোধ্যার রামমন্দির। যেটি বাবরি মসজিদের জয়গা জবরদখল করে তৈরি করেছিল ভারতের মোদি সরকার। এবার সেই মন্দিরের ভিত কাঁপিয়ে দেয়ার হুমকি দিলেন খালিস্তানি স্বাধীনতাকামী নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুন। সোমবার তারা একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে তিনি হিন্দুদের বিশ্বাসের প্রধানকেন্দ্র রামমন্দিরকে উড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন। এমনকী ভিডিওতে পান্নুন কানাডার হিন্দু এমপি চন্দ্র আর্যকেও হুমকি দিয়েছেন।
ভিডিওতে স্বাধীনতাকামী সংগঠন শিখ ফর জাস্টিস (এসএফজে) প্রধান পান্নুন বলেছেন, ‘আমরা হিন্দুত্ব মতাদর্শের জন্মস্থান অযোধ্যার ভীত কাঁপিয়ে দেব। ১৬ ও ১৭ নভেম্বর অযোধ্যার রাম মন্দিরে সহিংসতা হবে।’ জানা যাচ্ছে, কানাডার ব্রাম্পটনে পান্নু এই ভিডিও রেকর্ড করেছেন। এই ভিডিওতে রামমন্দিরের পাশাপাশি অন্যান্য অনেক হিন্দু ধর্মীয় স্থানের বিরুদ্ধে সহিংসতা উস্কে দেয়ার হুমকিও দিয়েছেন তিনি।
পান্নুনের এই হুমকিকে স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন অনেকেই। এমনকী পান্নুন ভিডিওতে অযোধ্যা রাম মন্দিরে প্রার্থনারত প্রধানমন্ত্রী মোদির ছবিও দেখিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি হুমকিতে কানাডায় বসবাসরত ভারতীয়দের হিন্দু মন্দিরে খালিস্তানি হামলা থেকে দূরে থাকতে বলেছেন। ভারতের বাসিন্দা হয়েও ভারত থেকে পলাতক পান্নুন। কানাডা থেকেই তিনি ভারতের বিরুদ্ধে নানারকম প্রচারণা চালানোর প্রয়াস করছেন। ভারতের বিরুদ্ধে পান্নুনে এমন হুমকি চলছে অনেকদিন ধরেই। এর আগে খালিস্তানি স্বাধীনতাকামী পান্নুন হুমকিতে ভারতের বিমান উড়িয়ে দেয়ার কথা বলেছিলেন। পান্নুন বলেছিলেন, শিখ দাঙ্গার ৪০ বছর পূর্ণ হলে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে হামলা হতে পারে।
এমনকী পান্নুন আন্তর্জাতিক যাত্রীদের ১ থেকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত এয়ার ইন্ডিয়াতে না যাওয়ার জন্য সতর্ক করেছিলেন। উল্লেখ্য, ভারতের বাসিন্দা গুরপতবন্ত সিং পান্নু। জন্ম পঞ্জাবে। পড়াশুনাও পঞ্জাব থেকে তার। বর্তমানে তিনি পালিয়ে বাঁচতে কখনও কানাডায় আবার কখনও আমেরিকায় থাকেন। তার কাছে এই দুই দেশের নাগরিকত্ব রয়েছে। বাইরে থেকে ভারতে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর হুমকি দিচ্ছেন তিনি প্রতিনিয়ত।
পান্নুর জন্ম ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৭ সালে। পান্নুন্নের বাবা পঞ্জাবের একটি কোম্পানিতে কাজ করতেন। তার এক ভাইও আছে, সে বিদেশে থাকে। তার বাবা-মা মারা গিয়েছেন। পান্নুন চণ্ডীগড়ের পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। বর্তমানে তিনি আমেরিকায় আইন প্র্যাকটিস করছেন। পান্নুন ২০০৭ সালে ‘শিখ ফর জাস্টিস’ নামে একটি সংগঠন তৈরি করেছিলেন। ২০২০ সালের জুলাইয়ে ভারত পান্নুকে সন্ত্রাসী ঘোষণা করেছিল।
Discussion about this post