রান্না একটি শিল্প। যে যত ভালোভাবে তার শিল্প ফুটিয়ে তুলতে পারে, তার হাতের রান্নায় মজা হয়। রান্নাঘর শুধু মেয়েদের ব্যক্তিগত আস্তানা আর নেই বললেই চলে। ছেলেদেরও অবাধ যাতায়াত সেখানে। বর্তমানে নারী-পুরুষ ভেদাভেদে সবাই টুকটাক রাঁধতে জানেন।
গিন্নিকে খুশি করতে হোক কিংবা শখে, রান্নাঘরে আনাগোনা বাড়ছে পুরুষের। অফিস থেকে ফিরে কিছু খেতে ইচ্ছা হলে নিজেই বানিয়ে নিচ্ছেন। কিংবা ছুটির দিনে বাড়িতে বন্ধুবান্ধবের আড্ডায় বিশেষ কোন পদ বানিয়ে চমকে দিচ্ছেন সবাইকে। অনেকে তো আবার ইউটিউব দেখে রান্না শেখেন। কেউ আবার বইমেলায় গিয়ে খোঁজেন দেশ-বিদেশের রান্নার বই। সেই বই দেখেই চলে রান্নাবান্না।
ইদানীং পুরুষের সঙ্গে রান্নাঘরের সম্পর্ক এভাবেই নিবিড় হয়েছে। সবার বাড়ির পরিবেশ আগের সময়ের মতো আর নেই। বহু বাড়িতেই জিরা, কালোজিরা, হলুদের কৌটোর ঠিকানা এখন জানেন পুরুষ সদস্যেরা। বাড়িতে স্ত্রী কিংবা মা কেউ না থাকলেও নিজেই দিব্যি রেঁধেবেড়ে খেতে পারেন। কাজ চালানোর মতো ডাল, ভাত, ডিম সেদ্ধ শুধু নয়, রীতিমতো পঞ্চব্যঞ্জন রাঁধেন। ইচ্ছা হলেও লুচি বানিয়ে নেন মাঝেমধ্যে।
রান্না নিয়ে পুরুষের পরীক্ষা-নিরীক্ষা অন্য মাত্রায় পৌঁছে গিয়েছে। মন এবং মসলা দিয়ে রান্না করা খাবারের গন্ধে মৌ মৌ করে পুরো বাড়ি। আর রান্নাঘরের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে গিন্নি অবাক হয়ে দেখেন নতুন প্রতিভার স্ফূরণ। কখনও তো আবার দেখা যায় ব্যাগভর্তি বাজার করে বাড়ি ফিরেছেন গিন্নি। আর রান্নার দায়িত্ব কর্তার। রান্নার বিষয়ে নারীর পাশাপাশি পুরুষরাও এখন বেশ এক্সপার্ট।
আপনিও যদি একজন ভালো রাঁধুনী হন, তাহলে ঢুকে পড়ুন কিচেনে। রাতের খাবার নিজ হাতে তৈরি করে প্রিয়জন ও পরিবারকে চমকে দিন আজ। কারণ, আজ বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ‘ন্যাশনাল মেন মেক ডিনার ডে’ অর্থাৎ ‘পুরুষদের রাতে খাবার তৈরির জাতীয় দিন’।
প্রতিবছর নভেম্বরের প্রথম বৃহস্পতিবার পালিত হয় দিবসটি। মূলত রান্নার সঙ্গে পুরুষদের সংশ্লিষ্টতা বাড়াতে ও তাদের মধ্যে রান্নাবিষয়ক আগ্রহ ও আত্মবিশ্বাস বাড়াতেই পালিত হয় দিবসটি।
Discussion about this post