সংযুক্ত আরব আমিরাতে নতুন ভিসার নাম শুনলাম ‘নো ব্যাক ভিসা’। উক্ত ভিসা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করে যা বুঝলাম! অনেকটাই আতঙ্কিত হওয়ার মতো ! মূলত ভিজিট ভিসার আরেক নাম হচ্ছে নো ব্যাক ভিসা। ভিজিট ভিসার চমৎকার এই ভিন্নধর্মী নামকরণ করার ক্ষেত্রে যারা ভূমিকা রেখেছেন তারা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
এই ভিসার দাম দুই উপায়ে আদায় করা হয়। একটি উপায় হচ্ছে আর্থিক আরেকটি মানসিক। সাধারণ ভিজিট ভিসার মূল্যের চেয়ে অধিক অর্থের বিনিময়ে এই ভিসা বিক্রি হয়। টাকা দিয়ে এখানে আসার পর মানসিক চাপে থাকার মাধ্যমে উক্ত ভিসার দ্বিতীয় মূল্য দেওয়া হয়।
এই ভিসার আগমন সুদূর বাংলাদেশের এক প্রকারের লোকদের মাথার মধ্যখানের মগজের পাশের ব্রেইন থেকে হয়েছে। ভিজিট ভিসায় আসলে আরব আমিরাতের নিয়ম অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দেশ ভ্রমণ শেষে চলে যেতে হয় নয়তো এখানে বৈধতার সুযোগ নিতে হয়। বৈধ হওয়ার ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা পদ্ধতি আছে। কিন্তু নো ব্যাক ভিসার মাধ্যমে আসলে এসব কিছুই করতে হয় না। কারণ দুবাই আসার আগেই ভিজিটরকে বলা হয় এখানে এসে অবৈধ ভাবে বসবাস করতে হবে। দেশ থেকে যে লোক আসে সেও না বুঝে সম্মতি দেয়। কেবল সম্মতি নয় বরং আসার পূর্বে মনস্ত করে আসে কোনরকম পৌঁছাতে পারলেই হলো। দুবাই পৌছার পর বৈধ আর অবৈধ দিয়ে কী হবে?
কিন্তু দুবাইতে অপ্রকাশিত একটা চাপা সংকট চলছে সেটা তার অজানা। তাছাড়া এ দেশের অভিবাসী আইন সম্পর্কেও তার অজানা। অবৈধভাবে বসবাসকারীদের কাজ দিলে কোম্পানিকে গুনতে হয় মোটা অংকের জরিমানা এটা তার অজানা। আইডি ছাড়া চলাফেরা করা অসম্ভব এটা তার অজানা। সর্বোপরি অবৈধভাবে বসবাসকারীদের বেলায় চিকিৎসা সেবায় রয়েছে প্রতিবন্ধকতা সেটা তার অজানা। দুবাই ইউরোপ নয় যে পুলিশ গ্রেফতার করলে বৈধ হওয়ার সুযোগ পাবেন।
কিন্তু যারা দুবাই বসবাস করছে তারা সব জানে। সব কিছু জানার পরেও কেন আজগুবি ‘ নো ব্যাক ভিসা’ দিয়ে লোক আনে? নো ব্যাক ভিসার নাম হওয়া উচিৎ ছিল “ইচ্ছেকৃত বিপদে পা দেওয়া”।
আব্দুল্লাহ আল শাহীন
শারজাহ, সংযুক্ত আরব আমিরাত।
সম্পাদনা: এম আই।