মাসুদ আলম: দীর্ঘ একটি সময় কেটেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। আরব দেশ গুলোর মধ্যে দ্বিতীয় প্রভাবশালী একটি দেশ। দেশটির শতকরা এক’শ জনই মুসলিম ( নাগরিকত্ব পাওয়া অনারব ননমুসলিম ছাড়া)।
এদেশে ইসলামের সঠিক নিয়ম, আচার অনুষ্ঠান পালন করা হয়। নবী মুহাম্মদ সাঃ এর যুগে এটা আলাদা কোন দেশ ছিলনা, সেই সূত্রে নবী মুহাম্মদ সাঃ এর দেশ, শত শত সাহাবা, সাহাবাদের সন্তান, সাহাবাদের নাতি পুতিদের দেশ। পূণ্য ভূমি। ইবরাহীম আঃ এর দোয়ার বরকত এদেশে এখনও কার্যকর। ফলমূল খাবারে সমৃদ্ধ, সারা পৃথিবী থেকে এসে যায়, সবার হাতের নাগালে। কিয়ামত পর্যন্ত এমনই ভাবে চলবে।
সুশীতল নজরকাড়া পরিপাটি মসজিদ, মনোরম দৃশ্য। এদেশের আরবরা নামাজের ব্যাপারে অত্যান্ত কট্টর। রাস্তার পাশে, মরুভূমিতে, মার্কেটে… যেখানে খুশি সেখানেই নামাজ আদায় করে নিবে, কাজা হতে দিবেনা।
এই কট্টর লোক গুলো পার্কের ঘাসের উপর হাঁটুগেরে বসে খাবার খায়, তারা বলে এটা সুন্নাহ্। তারা কথায় কথায় আসতাগ ফিরুল্লাহ্ বলে, তারা অন্যের জিনিস চুরি করেনা। তারা দান সাদাকাহ করে, তারা অন্যের দামের উপর দাম বলেনা। একেবারে কট্টর।
কিন্তু এই লোকগুলো, এই দেশের আপামর জনগণ “ঈদ ই মিলাদুন্নবী” নামে কোন অনুষ্ঠান পালন করেনা, পালনের নির্দেশও দেয়না। হাজার হাজার মসজিদ, তবুও কোন একটি মসজিদে এবিষয়ে কোন টু টা শব্দটি উচ্চারিত হয়না। তারা বলে নবীর জন্মদিন বা মৃত্যুদিন এটা ইসলামে কোন বড় বিষয় না, নবী সাঃ কি করতে বলেছেন নির্দেশনা দিয়েছেন সেটা বড় বিষয়, নবী রাসূলগণ আল্লাহর ইচ্ছায় এসেছেন, আল্লাহর ইচ্ছায় চলে গেছেন।
এতে খুশি বা কষ্টের কিছু নেই। তবে, তারা নবী মুহাম্মদ সাঃ এর ‘সম্ভাব্য জন্মদিন’ উপলক্ষে একদিন ছুটি দেয়, নবী মুহাম্মদ সাঃ এর সন্মানার্থে। দিনটি কখনো কখনো বুধবার হলে টেনে বৃহস্পতিবার এনে দেয় আবার কখনো সোমবার হলে একদিন আগেই রবিবার করে দিয়েছে, যাতে জনগণ টানা ছুটি পায়। (বর্তমানে শনি রবি সাপ্তাহিক ছুটি। আগে ছিল শুক্র শনি) ওদের কি সওয়াব কামানোর কোন টার্গেট নাই! নাকি তারা নবীকে ভালোবাসেনা!
#ঈদইমিলাদুন্নবী
লেখক: আবুধাবি প্রবাসী