সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার জন্য, যিনি অনুগ্রহ ও দয়ার অধিকারী। তাঁর প্রশংসা অবিরত, চিরস্থায়ী। মহান আল্লাহর পবিত্রতা ও গৌরব ঘোষিত হোক, যিনি ঋতুর আবর্তন ও দিনের পরিবর্তনে তাঁর হিকমত বাস্তবায়ন করেন।
﴿يُقَلِّبُ اللَّهُ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَعِبْرَةً لِأُولِي الْأَبْصَارِ﴾
“আল্লাহ দিন ও রাত পরিবর্তন করেন। এতে নিঃসন্দেহে আছে শিক্ষা তাদের জন্য, যারা অন্তর্দৃষ্টি রাখে।”
আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই এবং মুহাম্মদ ﷺ আল্লাহর রাসূল ও নবীদের সমাপ্তকারী। আল্লাহ তাঁর উপর, তাঁর পরিবার, সাহাবাগণ ও অনুসারীদের উপর শান্তি ও রহমত বর্ষণ করুন।
তাকওয়ার অসিয়ত:
হে আল্লাহর বান্দারা! আমি নিজেকে এবং আপনাদেরকে আল্লাহভীতির অসিয়ত করছি, তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়ার এবং তাঁর অনুগ্রহের যথাযথ মূল্যায়নের অসিয়ত করছি।
﴿وَاتَّقُوا الَّذِي أَمَدَّكُمْ بِمَا تَعْلَمُونَ﴾
“তোমরা সেই আল্লাহকে ভয় করো, যিনি তোমাদেরকে তা দিয়ে রিযিক দিয়েছেন, যা তোমরা জানো।”
গ্রীষ্মের হিকমত ও শিক্ষা
আমরা এখন গ্রীষ্মের মৌসুমে আছি, যা আল্লাহর হিকমত, রহমত ও নিয়ামতের বহিঃপ্রকাশ। এই ঋতুতে দিন দীর্ঘ হয়, ফলে সময়ের বরকত অনুভব করা যায়। গরমে গাছপালা ফল ধারণ করে, ফল পাকতে শুরু করে।
তীব্র গরম অনুভব করলে আমরা আল্লাহর কাছে দোআ করি যেন তিনি জাহান্নামের উত্তাপ থেকে আমাদের রক্ষা করেন এবং জান্নাতের নেয়ামত দান করেন।
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
“যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে তিনবার জান্নাত চায়, জান্নাত বলে, হে আল্লাহ! তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাও। আর যে জাহান্নাম থেকে রক্ষা চায় তিনবার, জাহান্নাম বলে, হে আল্লাহ! তাকে আগুন থেকে রক্ষা করো।”
— তিরমিযি, সহীহ
সময়, ঋতু ও আল্লাহর হুকুম
গ্রীষ্ম, শীত, দিন, রাত সবই আল্লাহর হুকুমে চলে। তাই গরমের প্রতি কষ্ট বা অসন্তোষ প্রকাশ করা উচিত নয়। আল্লাহ বলেন (কুদসী হাদীস):
“আদম সন্তান আমাকে কষ্ট দেয়, সময়কে গালি দিয়ে, অথচ আমিই সময়। আমার হাতেই সব কিছু, আমি দিন ও রাত পরিবর্তন করি।”
আমরা যারা আজ এই যুগে এসেছি, তাদের জীবনে রয়েছে এয়ার কন্ডিশনার, ঠাণ্ডা পানীয়, গাড়ি, ছায়াযুক্ত ঘরবাড়ি। অথচ পূর্বপুরুষরা প্রখর রোদে খালি পায়ে বালুতে হাঁটতেন, আশেপাশে ছায়া থাকত না। তবুও তারা ছিলেন ধৈর্যশীল, সন্তুষ্ট, কৃতজ্ঞ।
﴿وَاللَّهُ جَعَلَ لَكُمْ مِمَّا خَلَقَ ظِلَالًا…﴾
“আল্লাহ তোমাদের জন্য ছায়া, পর্বতের আশ্রয়, গরম থেকে রক্ষাকারী পোশাক দিয়েছেন।”
— সূরা নাহল: ৮১
Discussion about this post