ওমরাহ ভ্রমণকে আরও শৃঙ্খল ও সুরক্ষিত করতে সৌদি কর্তৃপক্ষ নতুন নিয়ম জারি করেছে। এখন থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) থেকে যাত্রীরা ওমরাহ ভিসার আবেদন করার সময়ই মক্কা–মদিনায় হোটেল এবং পরিবহন ব্যবস্থা আগাম বুকিং করতে হবে।সাম্প্রতিক সময়ে জেদ্দা ও মদিনা বিমানবন্দরে কড়াকড়ি ও তল্লাশি শুরু হয়েছে। বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর যাত্রীদের ভিসার পাশাপাশি হোটেল বুকিং ও অনুমোদিত পরিবহন কাগজপত্র দেখাতে হচ্ছে।
রিহান আল জাজিরা ট্যুরিজমের শিহাব পারওয়াদ খালিজ টাইমসকে বলেন, উমরাহ ভিসার জন্য আবেদন করার সময়ই আপনার পরিবহন ও আবাসনের বুকিং নিশ্চিত করতে হবে। জেদ্দা হয়ে মক্কায় প্রবেশ করলে নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ তা যাচাই করবে।সৌদি আরব অবৈধ ট্যাক্সি পরিষেবা বন্ধে এই ব্যবস্থা নিয়েছে। এখন কেবল সরকারি পোর্টালের মাধ্যমে বুক করা ট্যাক্সি বা হারামাইন এক্সপ্রেস হাই-স্পিড ট্রেনের টিকিটকেই বৈধ ধরা হচ্ছে। মদিনার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য।ট্রাভেল কোম্পানিগুলো জানিয়েছে, এই নিয়মের মূল লক্ষ্য হলো ভ্রমণ ব্যবস্থাপনা সহজ করা এবং অনুমোদিত অপারেটরদের মাধ্যমে যাত্রী পরিবহন নিশ্চিত করা। ব্যক্তিগত হাজিদের জন্য সরাসরি কোনো শাস্তির বিধান না থাকলেও অপারেটরদের গ্রাহকের বুকিং না থাকলে আর্থিক জরিমানা ও সিস্টেম বন্ধের মতো শাস্তি হতে পারে।
এএসএএ ট্যুরিজমের কায়সার মাহমুদ বলেন, ওমরাহ ভিসার আবেদন এখন ‘মাসার’ ডিজিটাল সিস্টেমে করতে হয়, যা ‘নুসুক অ্যাপ’-এর মাধ্যমেও পাওয়া যায়। এখানে হোটেল ও পরিবহনের তথ্য সংযুক্ত করতে হয়। হোটেল অবশ্যই হজ ও ওমরাহ কর্তৃপক্ষের নিবন্ধিত হতে হবে, আর ট্যাক্সি শুধু নুসুক অনুমোদিত পোর্টালের মাধ্যমেই বুক করা যাবে।
তিনি আরও সতর্ক করেন যে পর্যটন ভিসা নিয়ে ওমরাহ করার চেষ্টা করা যাবে না। ট্যুরিস্ট ভিসায় গেলে রিয়াজুল জান্নাহসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।
বর্তমানে ওমরাহ ভিসার খরচ শুরু হচ্ছে প্রায় ৭৫০ দিরহাম থেকে, যা নাগরিকত্বভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে। তবে এখন ভিসার আবেদন প্রক্রিয়ায় হোটেল ও পরিবহন বুকিং যুক্ত হওয়ায় হাজিদের আগেই সব প্রস্তুতি নিতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইউএই থেকে যারা ওমরাহ পালনের পরিকল্পনা করছেন, তাদের উচিত ভিসার আবেদন করার সময়ই ফ্লাইট, হোটেল ও পরিবহন বুকিং নিশ্চিত করা, যাতে শেষ মুহূর্তে কোনো জটিলতায় পড়তে না হয়।
সূত্র : খালিজ টাইমস