সেলিব্রেটিবিডি:
একজন ভালো অভিনয়শিল্পী হওয়ার স্বপ্ন দেখি। এ জন্যই এই জায়গায় নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে চাই।’ শুরুতেই বললেন ছোট পর্দার মডেল ও অভিনেত্রী বৃষ্টি ইসলাম। এই পাকাপোক্ত অবস্থান তৈরির জন্য নিয়মিত সিনেমা দেখেন, বই পড়েন। সিনেমা দেখতে বসলেই গল্পের চরিত্রগুলো নিয়ে ভাবেন। নিজের মধ্যে ধারণ করার চেষ্টা করেন।এসব কথা শুরুর আগে বৃষ্টির ছবি তোলা শেষ হয়। তা–ও এফডিসিতে। রঙিন পর্দার মানুষদের যেখানে আনাগোনা। তারপর যথারীতি আড্ডা। এই অভিনেত্রী জানান বিনোদনের রঙিন জীবনে আসার ইচ্ছা ছিল না তাঁর। বলেন, ‘আমি ভাবিইনি যে নাটক, মডেলিং করব বা উপস্থাপনা করব।’
তাহলে কীভাবে শুরু হলো? পেছনে ফেরার খানিকটা সময় নিলেন বৃষ্টি। এরপর বলা শুরু করলেন। জানালেন বড় পর্দা দিয়েই মিডিয়ায় কাজ শুরু হয়েছিল তাঁর। ২০১৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে ফেসবুকের ছবি দেখে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান মোশোন রক এন্টারটেইনমেন্ট থেকে যোগাযোগ করা হয়। বেশ কয়েকবার বলার পর তাদের সঙ্গে বসেন তিনি। ছবির নাম সাফিয়া। ছবির গল্প, চরিত্র পড়ে পছন্দ হয় বৃষ্টির। শুরু হয় কাজ। পরিচালক ছিলেন মাসুদুল হাসান।এই মডেল ও অভিনেত্রী বলেন, ‘ছবির ৩০ শতাংশ কাজ শেষ করার পর আর কাজটি এগোয়নি। পরে জানতে পারি ছবিটা আর শেষ হবে না।’ মনটা খারাপ হয়ে যায় বৃষ্টির। শুরুতেই হোঁচট!
এ নিয়ে ভাবনার রেশ কাটতে না কাটতেই কয়েক দিনের মাথায় আচমকা একসঙ্গে একটি বিজ্ঞাপন ও জিটিভির একটি নাটকের প্রস্তাব চলে আসে। সিয়ামের বিপরীতে নাটকটির নাম ইউ ডাইড বাট ইউ জাস্ট ডোন্ট রিমেম্বার।নাটকটি প্রচারের দিন পর্দায় নিজের অভিনয় দেখা আনন্দের ছিল না মোটেও। বৃষ্টি বলেন, ‘বাবার ভয়ে বাসায় কাউকে বলতেও পারিনি। শুধু মা জানত। লুকিয়ে লুকিয়ে দেখেছিলাম নাটকটি।’শুরুতেই বৃষ্টির মিডিয়ায় কাজের ব্যাপারে বাবার দিক থেকে নিষেধ ছিল। তবে একটা পর্যায়ে সেই নিষেধাজ্ঞা কেটে যায়। এরপর থেকে থেমে থাকেননি এই মডেল ও অভিনেত্রী।
এরই মধ্যে প্রায় ২৫টির মতো বিজ্ঞাপনে মডেল হয়েছেন বৃষ্টি। মারগারেট ও চণ্ডী কথক, ফেসবুক, একটি পারিবারিক প্রেম কাহিনি নাটকগুলো ও সংগীত তারকা ইমরানের বাহুডোর গানের মডেল, পাশাপাশি খেলাঘর, নির্ঝরা, হ্যালো ভালোবাসা শর্টফিল্মগুলো পরিচিতি দেয় তাঁকে। এ ছাড়া চ্যানেল আইয়ে সাত ভাই চম্পা ধারাবাহিক প্রচারিত হচ্ছে। ধারাবাহিকটিতে ছোট রানির চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। পাশাপাশি উপস্থাপনা করছেন নিয়মিত। শুরু করেছিলেন এনটিভির ‘মিউজিক জ্যাম’ দিয়ে। এখন করছেন বৈশাখী টিভির ‘স্পটলাইট’ অনুষ্ঠানটি। অভিনয়, মডেলিং, উপস্থাপনা—কোনটি প্রিয় বৃষ্টির? এককথায় বললেন, ‘অভিনয়।’ এই অভিনয় দিয়েই নিজেকে এগিয়ে নিতে চান। যে স্বপ্নটা তিনি সব সময় দেখেন।মা–বাবার তিন মেয়ের মধ্যে সবার বড় বৃষ্টি। নর্দান ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ শেষ করেছেন। মিডিয়ায় কাজের পাশাপাশি এমবিএ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন এই মডেল ও অভিনেত্রী।
সেলিব্রেটিবিডি/এইচআর
Discussion about this post