অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও একাধিক উপদেষ্টার কাছে ‘বিরোধ নিষ্পত্তির নোটিশ’ পাঠিয়েছেন সাইফুল আলম। নোটিশে ছয় মাস সময় বেঁধে দিয়ে তিনি দাবি করেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার তার সম্পদ জব্দ ও বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত করছে।
আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে ফিন্যান্সিয়াল টাইমস। সংবাদমাধ্যমটির তথ্যমতে, ১৮ ডিসেম্বর দেওয়া এস আলমের ওই নোটিশে বলা হয়েছে, এই ক্ষতি আদায়ে সাইফুল আলম আন্তর্জাতিক আইনি প্রচেষ্টা শুরু করেছেন। তবে বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে নন, সিঙ্গাপুরের নাগরিক হিসেবে তার এই প্রচেষ্টা। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে ২০০৪ সালের দ্বিপক্ষীয় বিনিয়োগ চুক্তির কথা বলা হয়েছে নোটিশে।
এতে বলা হয়, এস আলমের পরিবার ২০১১ সাল থেকে সিঙ্গাপুরে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে তারা দেশটির নাগরিকত্ব পেয়েছেন। ২০২০ সালে তারা বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেন।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্কিন আইনি প্রতিষ্ঠান কুইন ইমানুয়েল অ্যান্ড সুলিভানের আইনজীবীরা এই নোটিশ পাঠিয়েছেন।
নোটিশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার ও সরকারের বিভিন্ন সংস্থার কর্মকাণ্ড ও অবহেলার কারণে বিনিয়োগকারীদের অর্থাৎ এস আলম গ্রুপের বিনিয়োগ ও সম্পদমূল্য সম্পূর্ণভাবে বা আংশিকভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। এই অব্যাহত কর্মকাণ্ড ও অবহেলা বিনিয়োগ চুক্তির আওতায় বিনিয়োগকারীদের অধিকার এবং বাংলাদেশের আইন লঙ্ঘন, যে কারণে সরকারের সঙ্গে তাদের মক্কেল সাইফুল আলমের বিরোধ তৈরি হয়েছে।
ছয় মাসের মধ্যে বিষয়টির সমাধান না হলে আন্তর্জাতিক সালিসিতে যাবেন সাইফুল আলম।
Discussion about this post