বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশা ইউনিয়নের চন্দ্রপাড়া এলাকায় জুয়ার আসর থেকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে এক উপপরিদর্শক (এসআই) ও আরেক ছাত্রদল নেতা জনতার হাতে ধরা পড়েছেন। পরে তাদের মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
তারা হলেন বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের সহসভাপতি রাসেল আকন ও বরিশালের কাজিরহাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রেদোয়ান।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির শিকদার।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার রুনা লায়লা স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, রবিবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে বাবুগঞ্জের চন্দ্রপাড়া গ্রামের একটি ঘরে জুয়া খেলা চলছিল। বিষয়টি জানতে পেরে তারা সেখানে গিয়ে নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দেয়। এরপর জুয়া খেলা ৫ জনের টাকা এবং মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। ওই গ্রাম থেকে কে বা কারা বিমানবন্দর থানার ওসিকে বিষয়টি অবহিত করেন। তখন ওসি তাদের নিশ্চিত করেন এ ধরনের কোনও টিম সেখানে যায়নি। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে ওই দুজনকে আটকে পুলিশে সোপর্দ করে।
তিনি আরও জানান, সোমবার সকালে ওই দুজনকে আসামি করে প্রতারণা মামলা দায়ের করা হয়। এসআই রেদোয়ানের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
কাজিরহাট থানার ওসি মিজান বলেন, ‘গ্রেফতার এসআই রেদোয়ান আমার থানায় কর্মরত।’ তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে কারাগারে প্রেরণের বিষয়টি তিনি নিশ্চিত হয়েছেন। তিনি আরও জানান, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রেজাউল করিম রনি জানিয়েছেন, রাসেল যা করেছে সেটার দায়ভার দল নেবে না। বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে অবহিত করা হয়েছে। তারা সিদ্ধান্ত জানাবেন।
বিমানবন্দর থানা সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ২১ আগস্ট বরিশাল মহানগর ছাত্রদল নেতা রাসেলকে ইয়াবাসহ র্যাব-৮ আটক করে। এ ছাড়া রাসেলের বিরুদ্ধে বরিশালসহ বিভিন্ন থানায় ছিনতাই, মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
Discussion about this post