সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রথম কমার্শিয়াল নারী পাইলট হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ইতেহাদ এয়ারওয়েজের আয়েশা মানসুরি। ৩৩ বছর বয়সী আয়েশা আমিরাতের জাতীয় বিমান সংস্থা ইতিহাদে দীর্ঘদিন যাবত চাকরি করছেন। ২০০৭ সালে তিনি ইতিহাদ এয়ার লাইনে যুক্ত হন।
শুক্রবার আল আরাবিয়া জানায়, ইতিহাদ বিমান কোম্পানি আয়েশাকে আমিরাতের ‘কমার্শিয়াল নারী পাইলট ’ হিসেবে ভূষিত করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতীয় নারী দিবস পালনের কয়েকদিন পূর্বে তাকে এই পদমর্যাদা দান করা হলো।
ক্যাপ্টেন আয়েশা মানসুরি জানিয়েছেন, এমন সম্মানজনক উপাধি পেয়ে নিজেকে গর্বিত মনে করছি। ইতিহাদ এয়ারওয়েজে কাজের সুযোগ পেয়ে আমি ধন্য। ইতিহাদে আমি ক্যাডেট পাইলট হিসেবে জয়েন করেছিলাম। দীর্ঘদিন আমি ইতিহাদের অংশীদার হয়ে আছি। শিক্ষক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে থেকে আমি অসামান্য সহযোগিতা পেয়েছি। তাদের দিকনির্দেশনায় আমার প্রশিক্ষণ সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তাদের কারণেই আমি আজ সাধারণ ক্যাডেট থেকে ‘ক্যাপ্টেন পাইলট’ হতে পেরেছি। তাদের সকলের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।
আয়েশা আরো যোগ করেন, আমার জন্য গর্বের ব্যাপার, একজন আমিরাতি নারী হিসেবে এখন আমি ‘ক্যাপ্টেন’ হিসেবে কমার্শিয়াল ফ্লাইট পরিচালনা করব। আশা করি, আমাকে দেখে আমিরাতি তরুণীরা উদ্বুদ্ধ হবেন।
আয়েশা মানসুরির ‘ক্যাপ্টেন পাইলট’ পদ অর্জন উপলক্ষে ইতিহাদ কর্তৃপক্ষ একটি জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেখানে আয়েশার পরিবারের সদস্যসহ তার সহকর্মীগণ অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ১৫ বছর পূর্বে যে দুইজন নারী ক্যাডেট পাইলট হওয়ার আশায় ইতিহাদ এয়ারওয়েজে যুক্ত হয়েছিলেন, আয়েশা তাদের একজন।
২০১০ সালে আয়েশা গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। এরপর অভ্যন্তরীণ এয়ারবাস নিয়ে সর্বপ্রথম ওমানে বিমান পরিচালনা করেন। এভাবে ধীরে ধীরে তার র্যাঙ্ক বৃদ্ধি পেতে থাকে। ইতোমধ্যে আয়েশা মানসুরি ‘সুপার জাম্বু’ বিমান চালিয়ে নিজের দক্ষতা পরিদর্শন করেছেন।
ইতিহাদ এভিয়েশন গ্রুপের অপারেটিং প্রধান মোহাম্মদ আল-বালুকি বলেছেন, ‘ক্যাপ্টেন পাইলট’ আয়েশাকে নিয়ে আমরা গর্ব করি। তার সফলতা আমিরাতি নারীদের জন্য মাইলফলক হয়ে থাকবে। ইতিহাদ এয়ার ভবিষ্যতে অন্যান্য নারীদেরকে এই চ্যালেঞ্জিং পেশায় স্বাগত জানায়।
সূত্র : আলআরাবিয়া
Discussion about this post