বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে দীর্ঘদিন বিদেশিদের ওমরাহ পালনের অনুমতি বন্ধ রেখেছিল সৌদি আরব। এমনকি হজের সময়ও বাইরে থেকে কেউ গিয়ে হজ আদায়ের অনুমতি ছিল না। ফলে এই বছর ও বিগত বছর করোনা মহামারির কারণে সীমিত পরিসরে পবিত্র হজ আয়োজন করছে সৌদি আরব।
তবে সফলভাবে হজ আয়োজন করতে পেরে সারাবিশ্বের মুসলিমদের জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে ওমরাহ পালনের সুবিধা উন্মুক্ত করছে দেশটি। এরপর সীমিত সংখ্যক অংশগ্রহণকারীর মাধ্যমে ওমরাহ পালন শুরু হয়। ধীরে ধীরে অংশগ্রহণের সংখ্যা বাড়ানোও হয়। ফলে করোনাকালীন এই সময়কালে এক কোটির বেশি মুসল্লি ওমরাহ পালন করেছেন। সৌদির হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে। আরব নিউজে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই খবর জানা গেছে।
ওমরাহ পালনে বিদেশি মুসল্লিদের যাত্রা
এর আগে গত ১০ আগস্ট (১ মহররম) থেকে বাইরের দেশের মুসল্লিদের ওমরাহ পালনে অনুমতি দিয়েছে সৌদি সরকার। আর গত বছর ৪ অক্টোবর থেমে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে ধীরে ধীরে ওমরাহ পালন শুরু হয়। এ সময় ১০ মিলিয়ন মুসল্লি নিবন্ধন করে মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববিতে নামাজ আদায় ও ওমরাহ পালন করেন।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১৮ বছর বা তার বেশি বয়স্করা কেবল ওমরার অনুমতি পাবেন। স্থানীয়দের মধ্যে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী যারা দুই ডোজ টিকা নিয়েছে, তাদেরও ওমরাহ আদায়ের সুযোগ রয়েছে। এরপর ১২ হাজারের বেশি ওমরাহ ভিসা ইস্যু হয়েছে বলে জানায় সৌদির সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।
ওমরাহ পালনে যে টিকা নিতেই হবে
ওমরাহ পালনে আগ্রহীদের বাধ্যতামূলকভাবে সৌদি সরকার অনুমোদিত করোনার টিকা সমূহের যে কোন একটির উভয় ডোজ গ্রহণ সম্পন্ন করতে হবে। টিকাগুলো হলো- এক. ফাইজার বায়োন্টেক। দুই. মডার্না। তিন. অ্যাস্ট্রাজেনেকা। চার. জনসন অ্যান্ড জনসন।
তবে যারা চীনের তৈরি টিকার উভয় ডোজ নিয়েছেন, ওমরাহ পালনে সৌদি আরবে যেতে তাদের ফাইজার,মডার্না, অ্যাস্ট্রাজেনেকা অথবা জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকার বাড়তি বুস্টার ডোজ গ্রহণ করতে হবে।
Discussion about this post