শারজাহর আল-মেরেইজা-তে স্বর্ণের ওয়ার্কশপ থেকে মালিককে গুরুতর আহত করে ৪কেজি স্বর্ণের বিস্কুট নিয়ে দেশে পালিয়ে গেছে তিন ভারতীয় শ্রমিক।
শুক্রবার দুপুরে এই ঘটনাটি ঘটে, যখন তিন ভারতীয় কর্মী তাদের ৫৭ বছর বয়সী বাংলাদেশি মালিক এসডিকে গুরুতর আহত করে তার একটি লকার থেকে স্বর্ণ ও পাসপোর্ট ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
পুলিশের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, আসামিরা নিখুঁতভাবে এই হামলার পরিকল্পনা করেছিল। শারজাহ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের একটি দল হামলার দৃশ্যটি দেখে সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করেছে।
পুলিশ তাদের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ইন্টারপোলকে অবহিত করেছে।
ভুক্তভোগীর বড় ছেলে শিশির কুমার দাস(২৩) জানান, শুক্রবার তার পরিবারের জন্য শুভ দিন। তিনি বলেন তার পিতামহী(দাদী) বাংলাদেশে মারা গেছেন এবং তিনি শোকগ্রস্থ বাবাকে নিতে ওয়ার্কশপে গিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, “শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ওয়ার্কশপ খোলা থাকে,” ঐ দিন যখন তিনি বেলা তিনটার দিকে ওয়ার্কশপে যান তখন সেটি বন্ধ ছিল।
শিশির ভেবেছিলেন তার বাবা বাড়িতে চলে গেছেন। বাড়িতে এসে বাবাকে না পেয়ে তিনি এবং তার ভাই বার বার তার বাবাকে ফোন করলেও তার কোনও উত্তর পাওয়া গেল না।
তখন তারা আতঙ্কিত হয়ে তার বাবাকে খুজতে থাকে। অনেক্ষন খুজার পরে তাকে(এসডিকে) না পেয়ে তারা আল-গারব থানায় একটি মিসিং ডায়েরি করে।
রাত সাড়ে ১১ টা নাগাদ,শিশির তার বাবার বন্ধুদের সাথে ওয়ার্কশপে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সেখানে যেয়ে তারা দেখতে পেল ওয়ার্কশপ শুধুমাত্র এক দিক দিয়ে বন্ধ করা। তখন তারা ডুপলিকেট চাবি দিয়ে তালা খুলে ভিতরে প্রবেশ করে।
তারা ভিতরে প্রবেশ করে দেখতে পায় যে তার বাবার চায়ের কাপটি টেবিলে পড়ে আছে। আশপাশে গ্যাসের গন্ধ এবং সব কিছু ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। একটু দূরে তারা দেখতে পেল এসডি(ভুক্তভোগী) রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে। তিনি মাথার পিছনে গভীর আঘাত পেয়েছিলেন। তার ঘাড়েও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
শিশির সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ও অ্যাম্বুলেন্সকে ফোন করে। রাত আড়াইটার দিকে এসডিকে(ভুক্তভোগী) দ্রুত আল কাসিমি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে যে তিনজন কর্মীর মধ্যে দু’জন ভিতরে এসডিকে(ভুক্তভোগী) মারধর করে, অন্য একজন বাইরে দাঁড়িয়ে নজর রাখছিল।
পুলিশ ভূক্তভোগীর পরিবারের দেয়া তথ্য অনুযায়ি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালালে জানতে পারে যে,তারা ততক্ষণে মুম্বাই চলে গেছে।
ভুক্তভোগী ২০১৮ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হন, এখন তিনি মৃত্যুর সাথে লড়ছেন। তিনি দু’সন্তানের জনক,১৯৯৩ সালে শারজাহয় এসেছিলেন।
সূত্রঃগালফ নিউজ
Discussion about this post