সেলিব্রেটিবিডি:
জোভানের প্রথম অভিনয় ছিল একটি ধারাবাহিক নাটকে। সেই নাটকের একটি সংলাপ তাঁকে বলতে হয়েছে ৪০ বারের মতো। ‘ক্যামেরার সামনের প্রথম’ বিভাগে সেই গল্পই বলেছেন এই প্রজন্মের অভিনেতা জোভান।
‘মোগল আমলে মোগলেরা পায়েসের রং গোলাপের মতো করার জন্য গরুকে গোলাপ খাওয়াত।’ এই ছিল সংলাপ। ২০১৪ সালে জীবনের প্রথম নাটকের শুটিং করতে এসে এই সংলাপ বলতে হবে জোভানকে। প্রথম নাটকে অভিনয়, প্রথমেই বড় সংলাপের সম্মুখীন হতে হলো তাঁকে। প্রথম বলে কি না কে জানে, ‘গোলাপ’ খাওয়ানোর জায়গায় বারবার সেই ছেলেটা ‘গোবর’ বলে ফেলছেন। সহশিল্পী হিসেবে অ্যালেন শুভ্র বেশ সহযোগিতা করার পরও নতুন জোভান নিজেকে শুধরাতে পারেননি। এক সংলাপ বারবার বলাতে গিয়ে সেটের সবাই বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলেন। অবশেষে ৪০ বারের বেলায় এসে ঠিকঠাক বলতে পারছিলেন জোভান। যদিও ততক্ষণে নিজেই নিজের ওপর বিরক্ত। ২০০৯ সাল থেকেই মিডিয়াতে তাঁর আনাগোনা থাকলেও, সব কাজ ছিল বিজ্ঞাপনের মধ্যে সীমাবদ্ধ। তাও আবার পার্শ্ব চরিত্রের। তাই প্রথম নাটক ইউনিভার্সিটির প্রথম দিনের শুটিংয়ে এসে অনেকটা হতাশই হয়ে পড়েছিলেন জোভান। এদিকে ওই সময় এই নাটকে অভিনয় করছিলেন মোশাররফ করিম, মেহজাবিন, টয়া, মিম, অ্যালেনের মতো অভিনেতারা। তাঁদের শুটিং দেখে জোভান ভাবতেন, নাটকে কাজ করা সবচেয়ে কঠিন। যা তাঁর পক্ষে সম্ভব না।
তবে হতাশ জোভান খানিকটা সাহস পান প্রথম দৃশ্যের পর থেকে। কারণ, সেই গোলাপ বনাম গোবরের দৃশ্যের পরের দৃশ্যগুলোর শুটিংয়ের পর সহঅভিনেতা ও পরিচালকের প্রশংসা কুড়াতে থাকেন তিনি। তখন জোভানের মনে কিছুটা আত্মবিশ্বাস জন্ম নেয়। তবে জোভানের কাছে মনে হয়, আত্মবিশ্বাস জোগাতে তাঁকে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছেন তাঁর বাবা-মা। জোভান সেই স্মৃতি মনে করে বললেন, ‘আব্বু-আম্মু মাঝে মাঝে বসে ধারাবাহিকটা দেখতেন আর বলতেন, বাহ! ভালো অভিনয় করেছ। কিন্তু আমি মনে মনে হাসতাম, কারণ, আমি জানতাম আব্বু-আম্মু আমাকে সাহস দেওয়ার জন্য বলছেন।’ ইউনিভার্সিটি নাটকটা চলাকালীন অবস্থাতেই জোভান বেশ জনপ্রিয়তা পান, হয়তো জনপ্রিয়তা আর দর্শকের প্রত্যাশাই জোভানকে এখন দক্ষ অভিনেতা হতে সাহায্য করেছে।
সেলিব্রেটিবিডি/এইচআর
Discussion about this post