বাংলাদেশ ইনিংস শেষে মনে হচ্ছিল, এই ম্যাচের গল্প হয়তো আগেই লেখা হয়ে গেছে। ২০৫ রানের পাহাড় গড়ে যখন বাংলাদেশ ডাগআউটে ফিরে যায়, তখন খুব কম মানুষই ভাবতে পেরেছিল—শারজাহর রাতে সেই গল্পের শেষ পৃষ্ঠা আমিরাত লিখে দেবে। কিন্তু ক্রিকেট, যার শেষ বল না হওয়া পর্যন্ত কিছুই নিশ্চিত নয়, আবারও প্রমাণ করল নিজের নাটকীয়তা। আর নাটকীয়তায় ভরা ম্যাচটি জিতে নিল স্বাগতিক আরব আমিরাত।
২০৬ রানের টার্গেটে আমিরাতের শুরুটাই ছিল তাণ্ডবের। অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিম যেন নেমেছিলেন সব কিছু ওলট-পালট করে দিতে। মাত্র ৪২ বলে ৮২ রানের এক ধ্বংসাত্মক ইনিংসে বাংলাদেশের বোলিং লাইনআপকে ছিন্নভিন্ন করে দেন তিনি। পাওয়ারপ্লেতেই আসে ৬৮ রান—একেবারে ভিত্তিটাই গড়ে ফেলা। তার সঙ্গে ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন মোহাম্মদ জোহাইব। এই জুটি আমিরাতের রান তাড়ায় মূল চালিকাশক্তি হয়ে ওঠে।বাংলাদেশ যদিও মাঝপথে ম্যাচে ফিরে এসেছিল। ওয়াসিম ফিরলে পরপরই ভাঙতে থাকে আমিরাতের ব্যাটিং। এক পর্যায়ে হিসাব দাঁড়ায়—৬ বলে ১২ রান। তানজিম হাসান সাকিবের প্রথম বলটি ওয়াইড—হিসাব হয় ৬ বলে ১১। এরপরের বলেই সিঙ্গেল, তারপর তৃতীয় বলে পরাশর মারেন ছক্কা—ম্যাচ হেলে পড়ে আমিরাতের দিকে।
কিন্তু নাটকের এখানেই শেষ নয়! পরের বলেই পরাশরকে বোল্ড করেন তানজিম। এরপর শেষ চার বলে লাগে মাত্র ৪ রান। পরপর এক রান, তারপর একটি নো বল, আর তার পরে হায়দার আলীর ২ রান—সব হিসেব মিলিয়ে নেয় আমিরাত। ১ বল হাতে রেখেই ২ উইকেটে জয় তুলে নেয় তারা। পুরো ম্যাচ যেন এক রোমাঞ্চকর থ্রিলার!
Discussion about this post