নিজেদের প্রিয় ফরম্যাট ওয়ানডেতে খাবি খাওয়ার পর ভাবা হচ্ছিল, টি-টোয়েন্টিতে উড়ে যাবে টাইগাররা। তবে অবিশ্বাস্যভাবে সংক্ষিপ্ত এই ফরম্যাটে ঘুরে দাঁড়িয়েছে লিটন দাসের দল। দু’বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের চোখে চোখ রেখে নিশ্চিত করেছে সিরিজ। টেস্ট সিরিজে সমতার পর ওয়ানডেতে ধবলধোলাই- সব ভুলে টি-টোয়েন্টি সিরিজটা টাইগাররা করে নিয়েছে নিজেদের।
বুধবার সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৭ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ১৩০ রানের ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৮.৩ ওভারে মাত্র ১০২ রানেই গুটিয়ে গেছে স্বাগতিকেরা। বল হাতে দলকে অবিশ্বাস্য এই জয় এনে দিয়েছেন তাসকিন-তানজিম-রিশাদরা।
বুধবার সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৭ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ১৩০ রানের ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৮.৩ ওভারে মাত্র ১০২ রানেই গুটিয়ে গেছে স্বাগতিকেরা। তাসকিন-তানজিম-রিশাদরা বল হাতে রেখেছেন বড় ভূমিকা।
তিন ম্যাচ সিরিজে টানা দুই জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। একইসাথে আরো একটা বিব্রতকর রেকর্ড থেকেও মুক্তি পেল টাইগাররা। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এখন সবচেয়ে বেশি হার ক্যারিবীয়দের (১০৮)।
এদিন ম্যাচ শুরুর আগে এ রেকর্ড ছিল বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাঝে যৌথভাবে। দু’দল হেরেছিল সমান ১০৭ ম্যাচে। তবে এবার সেই রেকর্ড একার হলো স্বাগতিকদের।
সেন্ট ভিনসেন্টে দিনটা ছিল বোলারদের। শুরুতে বাজিমাত করেন আকিল হোসেন-গোদাকেশ মুতিরা। যার ফলে আগে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ নিয়মিত হারাতে থাকে উইকেট। ১৬.১ ওভারে ৮৮ রানে হারায় ৭ উইকেট।
ফলে মনে হচ্ছিল বাংলাদেশ এক শ’ রানই পার করতে পারবে না। তবে সেই ভাবনাটা উড়িয়ে দেন শামীম পাটওয়ারী। শেষ মুহূর্তে খেলেন দারুণ এক ইনিংস। তার অপরাজিত ১৭ বলে ৩৫ রানের ওপর ভর করে ১২৯ রান পর্যন্ত পৌঁছায় দল।
বাকিদের মাঝে কেবল বলার মতো স্কোর মেহেদী মিরাজের ২৫ বলে ২৬ ও জাকের আলির ২০ বলে ২১ রান। বাকিরা কেউ থিতু হতে পারেননি। অধিনায়ক লিটন দাস ফেরেন ১০ বলে মাত্র ৩ রানে। সৌম্য সরকার করেন ১১ রান।
ছোট এই পুঁজি নিয়েও হাল ছাড়েনি বাংলাদেশ। শুরু থেকেই চেপে ধরে ক্যারিবীয়দের। ৮.৩ ওভারে মাত্র ৪২ রানে তুলে নেয় ক্যারিবীয়দের ৬ উইকেট। তাসকিন-তানজিমের সাথে রিশাদ ও শেখ মেহেদীও বল হাতে ক্যারিবীয় দূর্গ কাঁপান।
প্রথম ১০ ওভার শেষে ক্যারিবীয়দের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ৪৪ রান। কিন্তু সপ্তম উইকেটে রোস্ট চেজ এবং আকিল হোসেনের জুটিতে বাংলাদেশের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ বাড়ছিল। ৪৭ রানের জুটিতে ম্যাচে ফেরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
আর তখনই ত্রাতা হয়ে হাজির হন রিশাদ হোসেন। ৩৪ বলে ৩২ রান করা রোস্টন চেজকে বোল্ড করে জুটি ভাঙেন রিশাদ। পরের বলে গুদাকেশ মোতিকেও আউট করেন এই লেগ স্পিনার।
সেই ধারায় আলজারি জোসেফকে (০) ফেরান তানজিম সাকিব। শেষ পর্যন্ত একাই লড়েন আকিল হোসেন। তার ৩১ বলে ৩১ রানের ইনিংসে শুধু হারের ব্যবধানই কমেছে। তাকে ফিরিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস গুটিয়ে দেন তাসকিন আহমেদ।
বাংলাদেশের পক্ষে তাসকিন আহমেদ ৩.৩ ওভারে ১৬ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন। ২টি করে উইকেট শিকার করেন মেহেদী হাসান, তানজিম সাকিব ও রিশাদ আহমেদ। বাকি উইকেটটি যায় হাসান মাহমুদের দখলে।
Discussion about this post