সাম্প্রতিক সময়ে সনাতনীদের বিভিন্ন কর্মসূচিতে বক্তব্যের জন্য ব্যাপক আলোচিত চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পুন্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ ব্রহ্মচারী।
সম্প্রতি গঠিত বাংলাদেশ সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তারের পর আবারও আলোচনায় তিনি। বিভিন্ন সনাতনী সংগঠনের পক্ষ থেকে তার গ্রেপ্তারে নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দেওয়া হলেও নীরব রয়েছে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণবানামৃত সংঘ (ইসকন) বাংলাদেশ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাংলাদেশে ইসকনের সংগঠকদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারী। ভক্তরা তাকে ডাকেন ‘চিন্ময় প্রভু’ নামে। কিন্তু সংগঠনের শৃঙ্খলাবিরোধী কার্যকলাপের কারণে তিনিসহ আরও কয়েকজনকে গত জুলাই মাসে ইসকন থেকে বহিষ্কার করা হয়।
চট্টগ্রামের হাজারি গলির ঘটনা প্রসঙ্গে গত ৯ নভেম্বর রাজধানীর স্বামীবাগ ইসকন আশ্রমে ‘ইসকন বাংলাদেশ’ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্যে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী এ কথা জানান।
সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ইসকনের যাবতীয় কার্যক্রম থেকে চট্টগ্রামের পুন্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস, প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের অধ্যক্ষ লীলারাজ গৌরদাস ও সদস্য স্বতন্ত্র গৌরাঙ্গ দাসকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
বহিষ্কৃতদের মাধ্যমে সংঘটিত কোনো কার্যক্রম ইসকন জড়িত নয় বলে উল্লেখ করে সেদিন তিনি বলেছিলেন, রাষ্ট্রদ্রোহিতা বা সহিংসতার মতো বেআইনি কাজের সঙ্গে ইসকনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
Discussion about this post