এ বছরের শেষ ম্যাচ ছিল এটিই। ২০২৪ সালে খেলা আট ম্যাচের শেষটি অন্তত জয়ে রাঙাতে পারল হাভিয়ের কাবরেরার দল। সবমিলিয়ে জিতেছে মাত্র দুটিতে।
পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশ ম্যাচে ফিরতে জোর চেষ্টা চালায়। ৪০ মিনিটে রাকিবের ক্রসে ফয়সাল আহমেদের শট ফিস্ট করে ফেরান গোলরক্ষক। ফিরতি বলে ফাঁকায় থাকা শেখ মোরসালিনের শট উড়ে যায় ক্রসবারের উপর দিয়ে। তিন মিনিট পর স্বস্তির সেই গোল পেয়ে যায় বাংলাদেশ। রাকিবের কাছ থেকে বল পেয়ে দারুণ দক্ষতা দেখিয়ে দুরের পোস্টে জাল খুঁজে নেন জনি। এই গোলে আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায় স্বাগতিকদের। দ্বিতীয়ার্ধে শাহরিয়া ইমন-চন্দন রায় বদলি নেমে খেলায় গতি বাড়ান। ৭৬ মিনিটে মোরসালিনের বদলি পিয়াস আহমেদ নোভা নামেন অভিষেক ম্যাচ খেলতে। নামার কয়েক মিনিটের ব্যবধানেই মালদ্বীপের রক্ষণভাগে চাপে ফেলানোর চেষ্টা করেন এই স্ট্রাইকার। গোলও পেতে পারতেন তিনি কিন্তু রাকিবের শট হুসাইন শরীফ কোনোমতে ফেরালে সেই বল ফাকায় পেয়েও জালে পাঠাতে পারেননি পিয়াস।
এর পরও হাল ছাড়েনি কাবরেরার শিষ্যরা। আক্রমণ অব্যাহত রেখে যোগ করা তৃতীয় মিনিটে পেয়ে যায় জয়সুচক গোল। শাহরিয়ার ইমনের ক্রসে বক্সে দারুণ ফিনিশিংয়ে জালে পাঠান পাপন। তাতে গোলের গেরো খুলে জয়ের স্বস্তিও ফেরে বাংলাদেশ শিবিরে।
ম্যাচের পর মুখে হাসি নিয়েই সংবাদ সম্মেলনে আসেন কাবরেরা। জানালেন পরিকল্পনা কাজে দিয়েছে, ‘সুযোগ নষ্ট ম্যাচেরই অংশ। ছেলেরা আজ কাজে লাগাতে পারায় ম্যাচ জিততে পেরেছি। আমাদের জন্য ভালো ম্যাচ ছিল।’
কিংস অ্যারেনায় বসে ম্যাচ উপভোগ করেছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া, জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের সঙ্গে ছিলেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল। কিংস অ্যারেনার সুযোগ-সুবিধা মুগ্ধ করেছে তামিমকে। তিনি বলেন, ‘এখানকার পরিবেশ দারুণ, শুধু এই মাঠ নয় পুরো কমপ্লেক্সই। বসুন্ধরাকে ধন্যবাদ। ফুটবল এখনো বাংলাদেশের জনপ্রিয় খেলা।’
Discussion about this post