লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন ওরফে সুমন খাঁনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলার তিস্তা টোল প্লাজা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তার বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজি, দখলদারিসহ এক ডজনেরও বেশি মামলা আছে বলে জানিয়েছেন লালমনিরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) এ কে এম ফজলুল হক।
তিনি বলেন, সুমন খাঁনকে মঙ্গলবার আদালতে হাজির করে রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হবে।
সম্প্রতি সুমন খাঁন, তার স্ত্রী ও তার দোকানের এক কর্মচারীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৪২৮ কোটি টাকারও বেশি লেনদেনের সন্ধান পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি।
সংস্থাটির কর্মকর্তারা জানান, সুমন খানের ব্যাংক হিসাবে ২৩৭ কোটি ৪৯ লাখ ৪৮ হাজার ৭৬০ টাকা মিলেছে। তার স্ত্রীর হিসাবে ৪ কোটি ৪৯ লাখ ৩৫ হাজার টাকা রয়েছে। এছাড়া সুমনের দোকান কর্মচারী তৌকির আহমেদ মাসুমের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১৮৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকা লেনদেনের তথ্য মিলেছে। তাদের বৈধ আয়ের কোনো উৎস নেই।
লালমনিরহাট সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল হাই বলেন, “হুন্ডি সুমনের বিরুদ্ধে মাদক, চোরাচালান, স্বর্ণ ও মুদ্রা চোরাচালানসহ নানা অপকর্মের তথ্য পেয়েছি।
“সদর থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতে সোপর্দ করে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সুমন খাঁনের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি হত্যা মামলা হয়েছে। ৫ অগাস্ট শহরের মাস্টারপাড়া শহীদ মিনার এলাকায় তার বিলাসবহুল বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন দেয় ছাত্র-জনতা। এ সময় স্বয়ংক্রিয় দরজা দিয়ে বেরিয়ে আসতে না পেরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে ৫ ছাত্রের মৃত্যু হয়।
লালমনিরহাট জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) এ কে এম ফজলুল হক বলেন, “৫ অগাস্টের পর ঢাকার বেশ কয়েকটি থানায় তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। লালমনিরহাটেও তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে।”
Discussion about this post