আহত শাহাদাত হোসেন ছাগলনাইয়ার নিশ্চিন্তা গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানান, বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক রফিকুল আলম মজনু বুধবার বিকেল ৫টার দিকে রাধানগর ইউনিয়ন পরিষদে যান। এ সময় তার আগমনের খবরে সেখানে বিপুল সংখ্যক বিএনপির দলীয় নেতাকর্মী সমবেত হন। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ছাগলনাইয়ার নিশ্চিন্তা গ্রামের ওমান প্রবাসী ও প্রবাস বিএনপির সমর্থক শাহাদাত হোসেন ওই সমাবেশে যান। হঠাৎ একদল যুবক তাকে টেনে-হেঁচড়ে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যান। এরপর তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করেন।
ভিকটিমের পরিবারের দাবি, বিএনপি সমর্থিত ছাগলনাইয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র আলমগীর বিএ- এর নেতৃত্বে শাহাদাতকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের সঙ্গে ছিলেন কামাল, সাইফুল সাবেক কমিশনার ফারুক, কফিল সরকার, মামুন সরকার এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের ইমরানসহ বেশ কয়েকজন। তারা শাহাদাতকে তুলে সরকার বাড়ির সামনে নিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে দুই পা, হাত ও শরীরের বিভিন্নস্থানে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করেন। একপর্যায় শাহাদাতকে রাস্তার পাশে ফেলে যায়।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ছাগলনাইয়া উপজেলা কমপ্লেক্সে ও পরে ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে পরিস্থিতির অবনতি হলে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
আহত শাহাদাতের বাবা আবুল খায়ের বলেন, আমার ছেলে গত ১৫ বছর ধরে ওমান থাকেন। বন্যায় বাড়ি-ঘর ডুবে যাওয়ার খবরে কিছুদিন আগে ছেলে বাড়ি আসে। গেলো এক সপ্তাহ ধরে ব্যবসায়ীক কাজে শাহাদাত ঢাকায় ছিল। বুধবার ঢাকা থেকে ছাগলনাইয়া আসার কিছুক্ষণের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। বিদেশ থেকে আসার পর তার কাছে হামলাকারীরা চাঁদা দাবি করে বিভিন্নভাবে হুমকি ও চাপ দিয়ে আসছিল। চাঁদা না দেয়ায় এ হামলা চালানো হয়।
এ বিষয়ে বিএনপি সমর্থিত ছাগলনাইয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র আলমগীর বিএ বলেন, ‘আমি ঘটনার সময় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের বিএনপির ঢেউ টিন বিতরণ করছিলাম। আমি কিছুই জানি না।’
তিনি আরও জানান, ‘তিনি প্রতিহিংসার শিকার। তবে যতটুকু জেনেছি শাহাদাতের সঙ্গে তার খালাতো ভাই কামাল ও ভাতিজা মামুনের পারিবারিক বিরোধ ছিল। এ জেরেই এমন ঘটনা ঘটেছে। এটা রাজনৈতিক কোনো ঘটনা নয়। আমি এ ঘটনার নিন্দা জানাই।’
ছাগলনাইয়া থানার চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাফুজুর রহমান বলেন, ‘ভিকটিমের পরিবারকে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
Discussion about this post