কর্তৃপক্ষ জানায়, নানামুখী উদ্যোগে বেড়েছে সেবার গতি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিদেশি কোম্পানিকে দায়িত্ব দিতেই বছরের পর বছর হয়রানি জিইয়ে রাখতেন সালমান এফ রহমান চক্র।
দেড় দশক ধরে দেশের শাসন ব্যবস্থায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর স্বল্প সময়ে চোখে পড়ার মতো পরিবর্তন এসেছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের যাত্রীসেবায়। বছরের পর বছর পাহাড়সম অভিযোগ ছিল প্রবাসীদের। এখন তারা বিমানবন্দরে নেমে বলছেন স্বস্তির গল্প। লাগেজ ভাঙাতো দূরের কথা, ইমিগ্রেশন পার হয়ে অনেক যাত্রী নিজেদের লাগেজ হাতে পাচ্ছেন ১৫ থেকে ২০ মিনিটেই।
পরিবর্তনের হাওয়ায় বন্ধ হয়েছে যাত্রী লাঞ্ছনা, ইমিগ্রেশন পুলিশ ও কাস্টমসসহ পদে পদে হয়রানিও। সহযোগিতায় রয়েছে হেল্প ডেস্ক, ফ্রি-ওয়াইফাই ও টেলিফোন সেবা।
এখন তারা বিমানবন্দরে নেমে বলছেন স্বস্তির গল্প। লাগেজ ভাঙাতো দূরের কথা, ইমিগ্রেশন পার হয়ে অনেক যাত্রী নিজেদের লাগেজ হাতে পাচ্ছেন ১৫ থেকে ২০ মিনিটেই।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে হাজার হাজার কোটি টাকার ইক্যুইপমেন্ট, জনবল নিয়োগ ও নিরাপত্তা কর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত দায়িত্ব পালনের কারণেই গতি বেড়েছে সার্বিক কার্যক্রমে।
জানতে চাইলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেম মো. কামরুল ইসলাম সময় সংবাদকে বলেন, যাত্রীসেবা আগের চেয়ে অনেক বাড়ানো হয়েছে। যাত্রীদের লাগেজগুলো যেন দ্রুত হাতে চলে আসে সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।
তবে অফিসিয়াল সব বক্তব্যকে পেছনে ফেলে ভিন্ন তথ্য দিলেন এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ নাফিজ ইমতিয়াজ উদ্দন। বিমানের সাবেক এই কর্তা জানালেন, পরিকল্পিতভাবেই যাত্রীসেবা নিয়ে নেতিবাচক ভাবমূর্তি সৃষ্টি করে রাখা হতো। ভিনদেশি কোম্পানির হাতে বিমানবন্দরের সেবা কার্যক্রম তুলে দিতেই নীল নকশা করেছিলেন শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
শেষ কয়েক বছরে বিমানবন্দরে যতটা উন্নয়ন চোখে পড়েছে, তার চেয়ে অদৃশ্যভাবেই স্বার্থান্বেষী মহলের কালো থাবা অধিকারবঞ্চিত করেছে সাধারণ যাত্রীদের। দায়ীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
Discussion about this post