পাবনার চাটমোহর উপজেলায় এক গৃহবধূর সঙ্গে রাত্রীযাপনকালে পুলিশের উপপরিদর্শককে (এসআই) আটক করেছে এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে পাবনার চাটমোহরের নিমাইচড়া ইউনিয়নের সমাজ (দক্ষিণপাড়া) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ভোরে এসআইকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।
আটক এসআই মেহেদী হাসান চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে কর্মরত। আপত্তিকর অবস্থায় জনতার হাতে আটকের পর বুধবার ভোরে হান্ডিয়াল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যান। পরে চাটমোহর থানা পুলিশ তাকে চাটমোহর থানায় নিয়ে আসে।
এলাকাবাসী জানায়, হান্ডিয়াল ইউনিয়নের সোনাবাজু গ্রামের ফারুক হোসেনের স্ত্রী একটি মামলাসংক্রান্ত বিষয়ে হান্ডিয়াল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে যাতায়াত করতেন। মামলার তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন এসআই মেহেদী হাসান। একে অপরের সঙ্গে বিভিন্ন দিনে দেখা হওয়া, কথা হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের দুজনের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে তারা প্রেমের সম্পর্ক জড়িয়ে পড়ে।
সম্প্রতি ঐ গৃহবধূ তার বাবার বাড়ি সমাজ দক্ষিণপাড়া গ্রামে বেড়াতে যান। ওই বাড়িতে গিয়ে এসআই মেহেদী গৃহবধূর সঙ্গে একই ঘরে রাত্রীযাপন করছে, এমন খবর পেয়ে বাড়ি ঘেরাও করে তাদের আটক করেন এলাকাবাসী। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এসআই মেহেদীকে থানায় নিয়ে যায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল ওহাব বলেন, ঘটনাটি জানার পরে আমি সেখানে গিয়েছিলাম। এলাকার মানুষ এসআই মেহেদীকে আটক করার পরে প্রথমে হান্ডিয়াল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
ঘটনার বিষয়ে জানতে এসআই মেহেদী হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে তার ফোনে কল দেওয়া হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
চাটমোহর থানার ওসি মঞ্জুরুল আলম বলেন, আমি সোমবার চাটমোহর থানায় যোগদান করেছি। সকালে বিষয়টি জানতে পারি। এ ব্যাপারে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
সহকারী পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেল) হাবিবুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, বিষয়টি জানার পরে আমি ওই গৃহবধূর বাড়িতে গিয়েছিলাম। সে সমস্ত বিষয় আমার নিকট অস্বীকার করেছে। তবে এই ঘটনায় আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করব। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পেলে পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Discussion about this post