রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে তাকে ব্যাপক মারধর করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তিনি কারাগারে যে সেলে আছেন, ওই সেলে থাকা কয়েকজন কয়েদি তার উপর হামলা চালানো হয়েছে বলে কারা সূত্র নিশ্চিত করেছে।
পরে রাতে এনামুলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
রাজপাড়া থানার এসআই কাজল নন্দী জানান, রাতে সাবেক এমপি এনামুল হককে কারাগার থেকে রামেক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তখন তিনি জানিয়েছেন কারাগারের ভেতরে তার ওপর কয়েকজন কয়েদি হামলা করেছেন। তখন ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, ওনার মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। কয়েদিরা তাকে মারধর করেছে বলে কারা পুলিশ জানিয়েছে। প্রথমে তাকে কারা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে কারা কর্তৃপক্ষ রামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করে। এখানে চিকিৎসা দিয়ে আবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর সাবেক এমপি এনামুল হকের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান রাজশাহীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতের বিচারক হাদিউজ্জামান। গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর আদাবরে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাবের একটি দল। পুলিশ জানায়, গত ৫ আগস্ট বাগমারায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে এনামুল হককে আদালতে হাজির করা হয়।
এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা এনামুলের জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত পুলিশের উপস্থাপন ও বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় তার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এনামুল হক রাজশাহী-৪ আসন থেকে ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তবে ২০২৪ সালে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে পরাজিত হন।
Discussion about this post