ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কুড়িল টোল প্লাজায় ভাঙচুরের ঘটনাকে ভুল বোঝাবুঝি বলছেন এক্সপ্রেসওয়েটির অপারেশন ম্যানেজার ক্যাপ্টেন হাসান হাসিব খান।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) কালবেলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান।
হাসান হাসিব খান বলেন, এক্সপ্রেসওয়েতে পিকআপে মানুষ নিয়ে চলাচলের কোনো সুযোগ নেই। ভিডিওতে যে পিকআপ দেখেছেন তাতে কিছু মানুষ দাঁড়িয়ে ছিল। তখন তাদের থামিয়ে দেওয়া হয়। একপর্যায়ে পিকআপ থেকে কয়েকজন নেমে তর্ক শুরু করেন, কেন তাদের যেতে দেওয়া হবে না। তারপর তারা ব্যারিয়ার সরিয়ে চলে যায়।
তিনি বলেন, আসলে তারা মনে করেছিল তাদের আটকে দেওয়া হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ ভুল বোঝাবুঝি। তারা টোল পরিশোধ করেছে। মূলত তাদের নিরাপত্তার জন্য তাদের আটকে দেওয়া হয়েছিল। ওরা হয়তো আমাদের নিরাপত্তার নিয়মটা জানে না, তাই এ ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, টোল প্লাজার কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। শুধু তাদের সঙ্গে তর্কবিতর্ক হয়েছে। তবে বিষয়টা তখনই ৯৯৯-এ কল করে জানিয়েছি। পুলিশ এবং সরকারের বিভিন্ন সংস্থা এসে দেখে গেছে।
পিকআপে কারা ছিল এই বিষয়ে ক্যাপ্টেন হাসান হাসিব খান বলেন, এ বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। ওই সময় পিকআপে কোনো রাজনৈতিক দলের লোকজন ছিল কি না তা জানা নেই।
উল্লেখ্য, বুধবার সকাল ৯টার কিছু পরে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কুড়িল টোল প্লাজায় ঘটে যাওয়া একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
যেখানে দেখা যায়, প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জনকে নিয়ে একটি পিকআপভ্যান টোল প্লাজায় দাঁড়িয়ে আছে। হঠাৎ পাঞ্জাবি পরিহিত এক যুবক টোল প্লাজার ব্যারিকেড বার ভেঙে ফেলছেন। সে সময় অন্যরা টোল প্লাজার কর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতি ও বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।
Discussion about this post