যুক্তরাষ্ট্রে পেনিসিলভানিয়ায় নির্বাচনী সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার সময় সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর বন্দুক হামলা চালানো হয়েছে। এতে সন্দেহভাজন হামলাকারীসহ দুজন নিহত হয়েছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও রক্তাক্ত অবস্থায় দেখা গেছে। তবে, তার প্রচারাভিযান দলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিরাপদ আছেন তিনি।
রোববার (১৪ জুলাই) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদ এই তথ্য জানানো হয়েছে। তবে ট্রাম্প আহত হলেও কী ধরনের আঘাত পেয়েছেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনাস্থলের এক ভিডিওতে দেখা যায়, ট্রাম্পের ডান কান গড়িয়ে রক্ত পড়ছে।
এর আগে, শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের বাটলার শহরে এ ঘটনা ঘটে। হামলাকারী নিজেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ট্রাম্পকে লক্ষ্য করেই এ হামলা চালানো হয়েছিল এবং এটি ছিল একটি গুপ্তহত্যার প্রচেষ্টা।
আগামী নভেম্বর মাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে যুক্তরাষ্ট্রে। সেই নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ট্রাম্প। নির্বাচনের প্রচারে শনিবার বাটলার শহরে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে শোভযাত্রা শেষে অস্থায়ী মঞ্চে বক্তব্য দিতে ওঠেন তিনি।
তার এই কর্মসূচির লাইভ ভিডিওতে দেখা গেছে, তিনি কথা বলা শুরু করা মাত্র পরপর একাধিক গুলির আওয়াজ উঠল এবং তিনি তার ডান হাত দিয়ে ডান দিকের কান চেপে ধরলেন। প্রায় এক মিনিট পর তিনি যখন হাত নামালেন, তখন তার কান ও মুখে রক্ত দেখা গেছে। এ সময় মুষ্টিবদ্ধ হাত উঁচিয়ে কয়েকবার ‘মেইক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’- স্লোগানও দিয়েছেন তিনি।
অস্থায়ী মঞ্চে বক্তব্য দেওয়ার জন্য যখন উঠেছিলেন ট্রাম্প তখন তার মাথায় ‘মেইক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’ স্লোগান সম্বলিত লাল ক্যাপ ছিল। তবে গুলির প্রায় এক মিনিট পর যখন তাকে ফের দেখা গেল, সে সময় তার মাথায় ক্যাপ ছিলো না।
আশেপাশে থাকা গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা অবশ্য গুলির আওয়াজের প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই তাকে ঘিরে ধরেছিলেন। সে সময়ও হাত উঁচিয়ে স্লোগান দিচ্ছিলেন তিনি।
Discussion about this post