স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, সুন্দরবনে জলদস্যুদের ভালো অবস্থা দেখে আজ তারা উদ্বুদ্ধ। সাংবাদিকদের সহযোগিতায় এ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তাদের ধন্যবাদ জানাই। উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষদের নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৩০) চট্টগ্রামে পতেঙ্গা র্যাব-৭–এর সদর দপ্তরে জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অস্ত্র-গোলাবারুদ জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূলীয় এলাকার ১২ জলদস্যু বাহিনীর ৫০ জন সদস্য। এর মধ্যে একজন নারীও রয়েছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালীরাও তাদের বাধ্য করে এসব কাজে জড়াতে। জনগণের কাছে র্যাব একটি আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক। সুন্দরবনে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবন রক্ষায় ২০১২ সালে র্যাবকে টাস্ক ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। র্যাবের দুঃসাহসিক অভিযানে সুন্দরবন জলদস্যু মুক্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, দস্যুরা যাতে আর সে কাজে ফিরতে না পারে, সে জন্য তাদের আর্থিক অনুদান দেওয়া হচ্ছে। আজ তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে। কেউ ব্যবসা করছে বা অন্য কাজ করছে। পাবনাতে ৬০০ ও সিরাজগঞ্জে ৩০০–র অধিক চরমপন্থী গ্রুপের সদস্য আত্মসমর্পণ করেছে। তাদেরও সরকার সহযোগিতা করেছে। তবে যাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের ও খুনের মামলা আছে তাদের কোনোভাবে সহযোগিতা করা হবে না। অন্য মামলাগুলো থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়ার জন্য কাজ করা হবে।
চট্টগ্রাম র্যাবের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য এম আব্দুল লতিফ, র্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম ও চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) নুরে আলম মিনা। জলদস্যুদের মধ্যে বক্তব্য দেন মাহমুদ করিম ও জসীম উদ্দীন।
Discussion about this post