জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণত বৃদ্ধির ফলে ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশ শীর্ষে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। পরিবেশ রক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সংযুক্ত আরব আমিরাতকে-বাংলাদেশে বিনিয়োগ এবং তথ্যপ্রযুক্তির বিনিময়ের আহবান জানান সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
সোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আহমেদ আলী আল সায়েঘ ও জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রী ডক্টর আমনা বিনতে আব্দুল্লাহ আল দাহাক -এর সঙ্গে বৈঠক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
দেশটির রাজধানী আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক এ বৈঠকে উভয় দেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতরা এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আন্ডার্ সেক্রেটারি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও বাংলাদেশের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার মহাপরিচালকসহ আটজনের একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেন।
আবুধাবির বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালীকরণ, বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়নে ইউএই’র অংশগ্রহণ বিশেষত মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা ২০২২-২০৪১ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। বাংলাদেশের পক্ষে পরিবেশ রক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় তথ্যপ্রযুক্তি বিনিময়, বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষি পণ্য আমদানী, সৌরবিদ্যুৎ চালিত সেচ কার্যক্রম উন্নয়নমূলক উল্লেখিত খাত সমূহে বিনিয়োগে ইউএই সরকারকে আহবান জানায় বাংলাদেশ।
একইদিন দুবাইয়ে দেশটির জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সাথে সংযুক্ত আরব আমিরাতের জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রী ডক্টর আমনা বিনতে আব্দুল্লাহ আল দাহাক -এর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রীডক্টর আমনা বলেন, বিগত অনেকগুলো বছর ধরে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে নেতৃত্বের ভূমিকায় অবস্থান করছে। বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা ২০২২ – ২০৪১ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন উদ্যোগের প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তন জনিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিভিন্ন প্রকল্পে ইউএই বিনিয়োগ করতে পারে।
এসময় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন অঞ্চলের জীববৈচিত্র ও প্রতিবেশ রক্ষা, ভাসমান সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প, বাংলাদেশের কক্সবাজার অঞ্চলে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত বিপুল বনাঞ্চল পূন:বনায়ন, সৌরবিদ্যুৎ চালিত সেচ কার্যক্রমের বিষিয়ে উল্লেখ করেন। তিনি এসব খাতে ইউএই সরকারকে বিনিয়োগের আহবান জানান।
জেআই/
Discussion about this post