মানুষকে সরল-সঠিক পথের দিশা দিতে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআন নাজিল করেছেন। এই গ্রন্থে সবার জন্য রয়েছে হেদায়েত। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘এটা (কোদরআন) সেই কিতাব, যাতে কোন সন্দেহ নেই। এটা মুত্তাকীদের জন্য পথ প্রদর্শক।’ (সূরা আল-বাকারা, আয়াত, ২)।
মানুষের হেদায়েতের বাণী কোরআন নাজিল হয়েছে পবিত্র রমজান মাসে। বর্ণিত হয়েছে, ‘রমজান মাস, যে মাসে কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে, যা মানুষের জন্য হিদায়াত এবং সুপথপ্রাপ্তির সুস্পষ্ট পথনির্দেশ আর হক-বাতিলের মধ্যে পার্থক্যকারী। সুতরাং তোমাদের যে কেউ এ মাস পাবে সে যেন অবশ্যই এর রোজা রাখে।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৫)
কোরআন নাজিলের মাসে বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করা আবশ্যক। আল্লাহর রাসুল সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ মাসে বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করতেন। তিনি প্রতি রমজানে হজরত জিবরাইল (আ.)–কে পূর্ণ কোরআন একবার শোনাতেন এবং হজরত জিবরাইল (আ.)ও নবীজি (সা.)–কে অবতীর্ণ পূর্ণ কোরআন একবার শোনাতেন।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনের শেষ রমজানে দশম হিজরির রমজান মাসে হজরত জিবরাইল (আ.)–কে পূর্ণ কোরআন মজিদ দুবার শোনান এবং হজরত জিবরাইল (আ.)–ও মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে পূর্ণ কোরআন শরিফ দুবার শোনান।
সাহাবায়ে কিরামও রমজান মাসে বেশি বেশি তিলাওয়াত করতেন।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরামের অনুসরণে সালফে সালেহিন প্রতি রমজান মাসে কোরআন খতম করতেন। হজরত ইব্রাহিম নাখায়ি রহ. বলেন, আসওয়াদ রমজানের প্রতি দুই রাত্রিতে একবার কুরআন খতম করতেন। (আস- সিয়ার, (৪/৫১)
কাতাদা (রহ.) সাতদিনে একবার কুরআন খতম করতেন। রমজান মাস এলে প্রতি তিনদিনে একবার কুরআন খতম করতেন। শেষ দশ রাত্রি শুরু হলে প্রতি রাতে একবার কুরআন খতম করতেন। (আস সিয়ার, (৫/২৭৬)
নবীজি, সাহাবি ও পূর্ববর্তী বুজুর্গ আলেমদের আমলের অনুসরণ করতে প্রত্যেক মুমিনের উচিত রমজানের বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করা।
এনটি
Discussion about this post