আমিরাতের মন্ত্রিসভা ২০২৬ সালের বার্ষিক বাজেট অনুমোদন করেছে, যেখানে প্রায় ৯২.৪ বিলিয়ন দিরহাম আয়ের অনুমান করা হয়েছে, ব্যয়ও হবে প্রায় সমান ও ভারসাম্যপূর্ণ।
আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রাশিদ আল মাকতুম ঘোষণা করেন যে ২০২৬ সালের এই ফেডারেল বাজেটটি ফেডারেশনের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
আগামী বছরের বাজেটে চলতি বছরের তুলনায় ২৯ শতাংশ আয় ও ব্যয় বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে।
মন্ত্রিসভা অর্থনীতি ও সহযোগিতা খাতের ৩৫টি আন্তর্জাতিক চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকও অনুমোদন করেছে।
এই বাজেটটি “আমরা আমিরাত ২০৩১” ভিশনের লক্ষ্য অনুযায়ী বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাতে বণ্টন করা হয়েছে।
২০২৬ সালের বাজেট বণ্টন:
• ৩৪.৬ বিলিয়ন দিরহাম (৩৭%) – সামাজিক উন্নয়ন ও পেনশন
• ২৭.১ বিলিয়ন দিরহাম (২৯%) – সরকারি কার্যক্রম
• ১৫.৪ বিলিয়ন দিরহাম (১৭%) – আর্থিক বিনিয়োগ
• ১২.৭ বিলিয়ন দিরহাম (১৪%) – ফেডারেল ব্যয়
• ২.৬ বিলিয়ন দিরহাম (৩%) – অবকাঠামো ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন
শেখ মোহাম্মদ বলেন,
“আমাদের বাজেট ভারসাম্যপূর্ণ, বিনিয়োগ বাড়ছে, বৈদেশিক বাণিজ্য ত্বরান্বিত হচ্ছে, এবং অর্থনীতি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমিরাত আজ আরব বিশ্বের শীর্ষে, এবং প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ রপ্তানিতে বিশ্বের শীর্ষ ২০ অর্থনীতির একটি।”
মন্ত্রিসভা ২০২৪ সালের বিদেশে প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের জাতীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নের ফলাফলও পর্যালোচনা করে।
এতে দেখা গেছে, আমিরাতের বিদেশি বিনিয়োগের মোট পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১.০৫ ট্রিলিয়ন দিরহাম, যা ২০২৩ সালের তুলনায় ৯ শতাংশ বৃদ্ধি।
বিশ্ববাজারে আমিরাতের প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ প্রবাহ ছিল ৮৬ বিলিয়ন দিরহাম, যা ২০২৩ সালের তুলনায় ৪.৮ শতাংশ বেশি।
আমিরাত বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ ২০ বিনিয়োগকারী দেশের মধ্যে রয়েছে —
• আরব বিশ্বে প্রথম, মোট আরব বিনিয়োগ প্রবাহের ৩৮.৪%
• পশ্চিম এশিয়ায় প্রথম, আঞ্চলিক প্রবাহের ৩৫.১%
• মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলে প্রথম, মোট প্রবাহের ৩৫%
গত পাঁচ বছরে (২০১৯–২০২৪) আমিরাতের রপ্তানি উন্নয়ন নীতির ফলে রপ্তানিতে ১০৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে — প্রায় ৪৭০ বিলিয়ন দিরহাম থেকে বেড়ে ৯৫০ বিলিয়ন দিরহাম হয়েছে।






















