চট্টগ্রামের ফ্লাডলাইটে আলোকিত সন্ধ্যা শেষ হলো হতাশায়। দারুণ সূচনা করেও ব্যাটিং ধসে শেষ পর্যন্ত ১৬ রানে হেরে গেল বাংলাদেশ। রোভম্যান পাওয়েল–শাই হোপদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে প্রথম টি–টোয়েন্টি জিতে সিরিজে ১–০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া ১৬৬ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ শুরু করেছিল ঝড়ো ব্যাটিংয়ে। তানজিদ হাসান মাত্র ৫ বলে ১৫ রান করে দেখিয়েছিলেন আগ্রাসনের ইঙ্গিত—আকিল হোসেনের ওভার থেকেই আসে একটি ছয় ও একটি চার। কিন্তু আগ্রাসনই যেন হয়ে উঠল পতনের কারণ। অতিরিক্ত শট খেলতে গিয়ে তানজিদ ফিরে যান দ্বিতীয় ওভারেই। এরপর থেকে শুরু হয় উইকেট পতনের মিছিল। লিটন দাস (৫), সাইফ হাসান (৮), শামীম হোসেন (১) ফিরলে বাংলাদেশ পাওয়ারপ্লেতে হারায় চার উইকেট।
একপ্রান্তে লড়ে যাচ্ছিলেন তাওহীদ হৃদয়। ২৮ রান করে তিনি চেষ্টা করেছিলেন ইনিংস গড়ার, কিন্তু রানরেটের চাপ সহ্য করতে না পেরে ১২তম ওভারেই আউট হয়ে যান। এরপর কিছুটা লড়াই আনেন তানজিম হাসান সাকিব। জীবন পেয়ে তিনি রোমারিও শেফার্ডকে টানা মারেন চার ও ছক্কা—১৪তম ওভারে আসে ১৮ রান, গ্যালারিতে জাগে আশার ঢেউ। তবে সেই আশাও দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ১৬তম ওভারেই জেসন হোল্ডারের বলে আউট হন তানজিম (৩৩)।
শেষদিকে নাসুম আহমেদ (২০) ও মুস্তাফিজুর রহমান (১১*) কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও ব্যবধান কমাতে পারেননি। বাংলাদেশ ইনিংস গুটিয়ে যায় ১৯.৪ ওভারে ১৪৯ রানে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে বল হাতে সবচেয়ে কার্যকর ছিলেন জেইডেন সিলস ও জেসন হোল্ডার—দুজনেই নিয়েছেন তিনটি করে উইকেট। আাকিল হোসেন পেয়েছেন দুটি, আর খারি পিয়ের ও রোমারিও শেফার্ড নিয়েছেন একটি করে উইকেট।
এর আগে ব্যাট হাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে শক্ত ভিত গড়ে দেন অধিনায়ক শাই হোপ (৪৬*) ও রোভম্যান পাওয়েল (৪৪*)। শেষ ওভারগুলোতে পাওয়েলের চারটি ছক্কা পার্থক্য গড়ে দেয় ম্যাচে। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে তাসকিন আহমেদ ছিলেন সবচেয়ে সফল—৪ ওভারে ৩৬ রানে ২ উইকেট নেন।























