বাংলাদেশের জনগণ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে টুইট করেছেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট এইচ. ই আলবার্তো অ্যাঞ্জেল ফার্নান্দেজ। ফুটবল বিশ্বকাপ জয় উপলক্ষে গত সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্টকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিনই টুইটারযোগে ফিরতি বার্তায় বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনার মধ্যকার সম্পর্ককে আরও জোরদার করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন আর্জেন্টাইন প্রেসিডেন্ট।
আলবার্তো ফার্নান্দেজ টুইটে বলেন, শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশের সকল মানুষের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে আমরা দুই দেশের মধ্যকার যে মিলন এবং পারস্পরিক সমর্থন ও ভালোবাসা দেখেছি তা বর্ণনাতীত। আজ এখানে একইসাথে উড়ছে উভয় দেশের পতাকা। আসুন, আমরা দুই দেশের এই সম্পর্ক ও সংযোগকে আরও জোরদার করি।
এর আগে, প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তায় আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্টের উদ্দেশে বলেন, ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২ এ আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের বর্ণাঢ্য বিজয়ের জন্য বাংলাদেশের জনগণ এবং আমার পক্ষ থেকে আমি আপনাকে এবং আর্জেন্টিনা প্রজাতন্ত্রের বন্ধুত্বপূর্ণ জনগণকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমি আনন্দের সাথে লক্ষ্য করেছি, ফুটবলের প্রতি, বিশেষ করে আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের প্রতি স্নেহ এবং ভালবাসা আমাদের দু’দেশের মানুষকে গভীরভাবে সংযুক্ত করেছে। বিশ্বকাপ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ জয় উপলক্ষে বাংলাদেশের মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত উদযাপনের মধ্য দিয়ে আপনার দেশের জাতীয় ফুটবল দলের প্রতি গভীর ভালোবাসার পরিচয় দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের দুই দেশের জনগণের এই অভূতপূর্ব ভালোবাসা ও স্নেহ আমাদের দু’দেশের মধ্যে দৃঢ় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পথ প্রশস্ত করেছে। আগামীতে দু’দেশের রাজধানীতে দূতাবাস চালুর মধ্য দিয়ে এই সম্পর্ক আরও সুসংহত ও দৃঢ় হবে বলেও আশা ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টাইনরা জানতে পেরেছে, মেসি-ম্যারাডোনাদের জন্য হাজার হাজার মাইল দূরে অবস্থিত বাংলাদেশের মানুষের রয়েছে অকুণ্ঠ সমর্থন ও শর্তহীন ভালোবাসা। মেসি-ম্যারাডোনার দেশ আর্জেন্টিনার ম্যাচ ঘিরে যে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা তৈরি হয় বাংলাদেশের অগণিত মানুষের হৃদয়ে, সেটাও জায়গা পেয়েছে আর্জেন্টিনার গণমাধ্যমে। বুয়েন্স আইরেসে অবস্থিত টিভি টকশোতে ডাক পেয়ে বাংলাদেশের মানুষও জানিয়েছেন, কীভাবে বাংলাদেশের শুরু হলো আর্জেন্টিনা নিয়ে এহেন উন্মাদনা। দিয়েগো ম্যারাডোনার পর লিওনেল মেসিদের সাফল্য ও ব্যর্থতার অনুরণন কীভাবে ঘটে বাংলাদেশের মানুষের মনে, সেসবের ছবি-ভিডিও এখন দেখতে পাচ্ছে আর্জেন্টাইনরা। ফুটবল উন্মাদনাকে ঘিরে এবার দুই দেশের মধ্যে রাষ্ট্রীয় পর্যায়েও সংযোগ স্থাপনের ভিত্তি দৃঢ় হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
Discussion about this post