২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হওয়া ক্যাবিনেট রেজুলেশন নং ২৭ অব ২০২৪ অনুসারে, নির্দিষ্ট কিছু সরকারি ছুটি যদি সপ্তাহের মাঝামাঝি পড়ে, তবে তা সপ্তাহের শুরু বা শেষে সরিয়ে নেওয়া যেতে পারে। তবে এই নিয়ম স্বয়ংক্রিয় নয়—এটি কার্যকর হবে কেবল তখনই যখন মন্ত্রিসভা বিশেষভাবে ঘোষণা দেবে।
কোন ছুটিগুলো স্থানান্তরযোগ্য
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নিচের সরকারি ছুটিগুলো সপ্তাহের মাঝামাঝি পড়লে মন্ত্রিসভা চাইলে সেগুলো সপ্তাহের শুরু বা শেষে সরাতে পারবে—
- গ্রেগরিয়ান নববর্ষ (১ জানুয়ারি)
- হিজরি নববর্ষ (১ মুহররম)
- মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জন্মবার্ষিকী (১২ রবিউল আউয়াল)
- আরাফা দিবস (৯ যিলহজ্জ)
- সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতীয় দিবস (২–৩ ডিসেম্বর)
নিয়ম কীভাবে কাজ করবে
ছুটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্থানান্তরিত হবে না।
প্রতিবার ক্যাবিনেটকে আলাদাভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কোন ছুটি সরানো হবে।
মূল উদ্দেশ্য হলো বাসিন্দাদের দীর্ঘ সপ্তাহান্তের সুযোগ করে দেওয়া।
উদাহরণ
মিলাদুন্নবী (সা.) ২০২৫ সালে:
যদি হিজরি মাস ২৪ আগস্ট থেকে শুরু হয়, তবে ছুটি হবে বৃহস্পতিবার ৪ সেপ্টেম্বর।
যদি ২৫ আগস্ট থেকে শুরু হয়, তবে ছুটি হবে শুক্রবার ৫ সেপ্টেম্বর।
শুক্রবার হলে শুক্রবার–শনিবার–রবিবার তিন দিনের লম্বা সপ্তাহান্ত পাওয়া যাবে, তবে সেটি নির্ভর করবে মন্ত্রিসভা ছুটি স্থানান্তরের ঘোষণা দেয় কি না তার উপর।
জাতীয় দিবস ২০২৫ সালে: ২ ও ৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার–বুধবার পড়ছে।
অনেকের আশা, এই ছুটিকে সরিয়ে দীর্ঘ সপ্তাহান্ত করা হবে। কিন্তু এটিও কেবল মন্ত্রিসভার ঘোষণার উপর নির্ভর করবে।
কোন ছুটি স্থানান্তরযোগ্য নয়
ঈদুল ফিতর
ঈদুল আযহা
এই দুটি ছুটি ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী নির্ধারিত হওয়ায় স্থানান্তর করা যাবে না।
অতিরিক্ত শর্ত
কোনো ছুটি যদি অন্য কোনো সরকারি ছুটির সঙ্গে মিলে যায়, তবে স্থানান্তর করা যাবে না।
যদি কোনো ছুটি শুক্রবার বা শনিবারে (সপ্তাহান্তে) পড়ে, তবে সেটিও সরানো যাবে না।
Discussion about this post