সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপকূলের একটি দ্বীপে প্রাচীন একটি খ্রিস্টান মঠ আবিষ্কৃত হয়েছে। দেশটির কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার এ খবর ঘোষণা করেছেন। সিনিয়াহ দ্বীপের মঠটি পারস্য উপসাগরের তীরে খ্রিস্টধর্মের ইতিহাসে নতুন দিশা দেখাল। যদিও আমিরাতে পাওয়া দ্বিতীয় মঠ এটি।
ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, প্রায় ১৪০০ বছর পূর্বের মঠটি আবিষ্কারে কাজ করেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্বের সহযোগী অধ্যাপক টিমোথি পাওয়ার। তিনি বলেন, হাজার বছর আগে এখানে অসাধারণ কিছু ঘটেছিল। সেই কথা জানা প্রয়োজন। মঠটি সিনিয়াহ দ্বীপে অবস্থিত। পারস্য উপসাগরের উপকূল বরাবর দুবাই থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বের আমিরাত দ্বীপ এটি৷ দ্বীপের উত্তর-পূর্ব দিকে প্রত্নতাত্ত্বিকরা মঠটি খুঁজে পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সংযুক্ত আমিরাতের সংস্কৃতি ও যুব মন্ত্রী নওরা বিনত মোহাম্মদ আল-কাবি এবং আমিরাতের প্রিন্স শেখ মজিদ বিন সৌদ আল মুল্লা এটি পরিদর্শন করেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংস্কৃতি মন্ত্রক এই খননকাজে অর্থায়ন করেছে। খননের কাজ এখনো চলছে।
ইতিহাসবিদরা বলেছেন, শুরুর দিকের গির্জা এবং খ্রিস্টান মঠগুলি পারস্য উপসাগর বরাবর বর্তমান ওমানের উপকূল এবং ভারত পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছিল। প্রত্নতাত্ত্বিকরা বাহরাইন, ইরাক, ইরান, কুয়েত এবং সৌদি আরবে অনুরূপ গির্জা এবং মঠ খুঁজে পেয়েছেন। এর আগে প্রত্নতাত্ত্বিকরা স্যার বানি ইয়াস দ্বীপে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রথম খ্রিস্টান মঠ আবিষ্কার করেন৷ সেটি নির্মাণ করা হয়েছিল ৯ম শতাব্দীতে। পাওয়ার বলেন, এই এলাকায় অন্তত ১০ হাজার বছর ধরে মানুষের বসবাস ছিল। নতুন করে এই মঠের আবিষ্কার সত্যিই আকর্ষণীয়। এর আছে এক অজানা ইতিহাস, যা কেউ জানে না।
৫৩৪ এবং ৬৫৬ সালের মধ্যে মঠের ভিত্তিতারিখে নমুনার কার্বন ডেটিং করা হয়েছে। মঠের পাশে চারটি ঘরের দ্বিতীয় আরেকটি ভবনও দেখা যায়। অনুমান করা হচ্ছে, গির্জা বা মঠের প্রথম বিশপের বাড়ি ছিল এটি।






















