সংযুক্ত আরব আমিরাতে দুবাইয়ে শেষ হলো প্রবাসী বাঙালির বইমেলা। তিনদিনের এই মেলা ব্যাপক সাড়া ফেলেছে প্রবাসীদের মাঝে প্রতিদিনের ছিল উপচেপড়া ভীড়, মেলার শেষদিনে ছিল জমজমাট আয়োজন।
মেলার শেষদিনে আমিরাতে বসবাসরত প্রবাসী লেখকদের নিয়ে “প্রবাসে সাহিত্যচর্চা” ও আমিরাতের প্রবাসী সাংবাদিকদের হাতে সম্মিলিতভাবে তুলে দেওয়া সম্মাননা ।
মেলায় বিশিষ্ট কবি ও লেখক, দুবাই উত্তর আমিরাতে নিযুক্ত কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন এর “নীল লেফাফার চিঠি” তার ছেলে রুহিন হোসেন”র বিগ ব্ল্যাস্ট অফ ব্রিলিয়েন্ট স্টোরিজ এবং সাংবাদিক কামরুল হাসান জনি”র ঘরে ফেরার গান সহ বেশ কয়েকজন লেখক এর বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের পাশাপাশি কবিতা, আবৃত্তি, নৃত্য দেশাত্মবোধক গান, ফ্যাশন শো, রবীন্দ্র, নজরুল সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে সংস্কৃতির আয়োজনকে মনোমুগ্ধকর করে তুলেন বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের শিল্পীরা।
মেলার প্রথম দিন বাংলাদেশি কবি-সাহিত্যিকরা ছাড়াও আমিরাত ও ভারতের স্বনামধন্য লেখকরা উপস্থিত ছিলেন। বিকেল থেকে মধ্যরাত হাজারো সাহিত্য-সংস্কৃতিপ্রেমীদের ভিড়ে দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেট পরিণত হয় একখণ্ড বাংলাদেশে।
মেলার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ছিলেন বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালেয়র শিক্ষক ও সংস্কৃতি ব্যাক্তিতরা।
রবিবার ছিল মেলার শেষ দিন। ছুটির দিন হওয়ায় বই মেলায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন বয়সের মানুষ এই বইমেলায় অংশ নিয়েছে। সকাল থেকে ভিড় কম থাকলেও বিকাল হতে প্রবাসীদের পদচারণায় মেলা মুখর হয়ে ওঠে। মেলায় তারা বাংলা ও ইংরেজি ভাষার বিভিন্ন ধরনের বই কিনেছেন।
মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে সমাপনী অনুষ্ঠান শেষ হয়। সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসরত বাংলাদেশীদের বই পড়ায় আগ্রহী করতেই এ আয়োজন প্রতিবছর দাবি জানিয়েছেন বই প্রেমী প্রবাসীরা।
Discussion about this post