ভিত্তিহীন শ্বেতপত্র প্রকাশ নাস্তিকদের পক্ষ থেকে মুসলমানদের ওপর একটি পরীক্ষা। এসব নাস্তিকদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। নব্বইভাগ মুসলমানের দেশে ইসলাম বিদ্বেষী কথিত গণকমিশনের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি ভুক্তভোগীদের আইনের আশ্রয় নেয়ার জন্য তিনি অনুরোধ করেন। বিভিন্ন ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দ আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ : গণকমিশন দেশ ইসলাম ও মানবতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। তিনি বলেন, যে সমাজে ওলামায়ে কেরামের দাম যত বেশি, সে সমাজ তত উন্নত ও শান্তিপূর্ণ। আর যে সমাজে ওলামায়ে কেরামের অবজ্ঞা ও অবহেলা করা হয়, সেখানে আল্লাহর রহমতের পরিবর্তে অশান্তি সৃষ্টি হয়। কাজেই গণকমিশন ওলামায়ে কেরাম ও মাদরাসা শিক্ষার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র লিপ্ত হয়েছে। তারা বিদেশীদের খুশি করতে আলেমদের অপবাদ দিচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় আমেলার এক জরুরি সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, প্রকৌশলী আশরাফুল আলম, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিন, মহিলা ও পরিবার কল্যাণ সম্পাদক মাওলানা এবিএম জাকারিয়া প্রমুখ।
মহাসচিব আরো বলেন, অর্থপাচার বাংলাদেশের অর্থনীতির দুষ্টু ক্ষতে পরিণত হয়ে অবিরত জাতিকে দহ করছে। অসৎ রাজনীতিবিদ,আমলা ও ব্যবসায়ী চক্র খেটে খাওয়া মানুষের সম্পদ চুরি করে বিদেশে পাচার করে স্থায়ী সম্পদ গড়েছে এবং ব্যাংকে টাকা জমিয়েছে। বিদেশে সেসব স্থায়ী সম্পদ গড়া হয়েছে বা নগদ অর্থ জমা করা হয়েছে তা স্পষ্টত চুরি-ডাকাতি মাধ্যমে অর্জিত। এগুলো জনতার সম্পদ। কোন ধরনের আইনী ফাঁক ফোকরে বা কোন ছলচাতুরী করে জনতার সেই সম্পদ চোরদের পক্ষে বৈধতা দেয়া হলে জনতার সহ্য করবে না । এই গণকমিশন মাদক, সন্ত্রাস, অর্থপাচার বিষয়ে কোন কথা বলে না। এদের কাজই হলো ইসলাম ও আলেম সমাজকে আঘাত করা।
জাতীয় মুফাসসির পরিষদঃ হেফাজতে ইসলামের সাবেক নায়েবে আমির ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের শীর্ষ নেতা মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী বলেছেন, ১১৬ জন আলেমেদ্বীন ও এক হাজার মাদরাসার তালিকা এবং ভিত্তিহীন শ্বেতপত্র প্রকাশ নাস্তিকদের পক্ষ থেকে মুসলমানদের ওপর একটি পরীক্ষা। এসব নাস্তিকদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। নব্বইভাগ মুসলমানের দেশে ইসলাম বিদ্বেষী কথিত গণকমিশনের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি ভুক্তভোগীদের আইনের আশ্রয় নেয়ার জন্য তিনি অনুরোধ করেন।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয় মুফাসসির পরিষদের উদ্যোগে আলোচনা সভায় আল্লামা আব্দুর রব ইউসুফী প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সভায় নেতৃবৃন্দ আলেম ওলামা ও মুসলমানদের ঐক্যের উপর গুরুত্বারোপ করেন। সংগঠনের সভাপতি মুহাদ্দিস আমিরুল ইসলাম বিলালীর সভাপতিত্বে এবং কাজী মারুফ বিল্লাহর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের আরো বক্তব্য রাখেন, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি আব্দুর রউফ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারের (অব.) সৈয়দ মো. ইব্রাহিম বীরপ্রতিক, মাহামুদুল হাসান ফেরদাউস, শাহ আরিফ বিল্লাহ, জামাল উদ্দিন।
ওলামা সম্মেলন বৃহস্পতিবারঃ কথিত ‘গণকমিশনের উদ্যোগে ১১৬ জন আলেম ও ১০০০ মাদরাসার বিরুদ্ধে বানোয়াট শ্বেতপত্র এবং ইসলাম ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক ওলামা সম্মেলন আগামীকাল, বৃহস্পতিবার, সকাল ৯টায় রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) (১৬০/এ কাকরাইল, ঢাকা-১০০০)-এ অনুষ্ঠিত হবে। ওলামা সম্মেলনে ১১৬ জন তালিকাভুক্ত আলেম ও ১০০০ মাদরাসার প্রিন্সিপাল উপস্থিত থাকবেন।
সংগঠনের সভাপতি আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী পীর সাহেব কারীমপুর, সিনিয়র সহ-সভাপতি বগুড়া জামিল মাদরাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস আল্লামা আব্দুল হক আজাদ, আল্লামা মুফতী ওমর ফারুক সন্ধিপী, হযরত হাফেজ্জী হুজুরের জামাতা আল্লামা খালিদ সাইফুল্লাহ, ড. মাওলানা মুশতাক আহমদ, ড. মাওলানা আ.ফ.ম খালিদ হোসাইন, জামিয়াতুস সুন্নাহ’র প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা নেয়ামতুল্লাহ আল-ফরিদী, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা গাজী আতাউর রহমান এক যুক্ত বিবৃতিতে আগামীকালের অনুষ্ঠিতব্য ওলামা সম্মেলন সফলের আহ্বান জানিয়েছেন।
Discussion about this post