তুরস্কে অত্যন্ত বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালিত হলো ঐতিহাসিক কনস্টান্টিনোপল (ইস্তাম্বুল) বিজয়ের দিনটি। রোববার যথাযথ মর্যাদায় আনুষ্ঠানিকভাবে দিবসটি পালন করে তুর্কিরা।
রোববার ভোরে এ উপলক্ষে ফজর নামাজ পড়তে আয়া সোফিয়া মসজিদে দূর-দূরান্ত থেকে সমবেত হন অসংখ্য মুসল্লি।
আনাদোলু এজেন্সি জানায়, বিজয় দিবস উপলক্ষে ওই দিন নগরীর প্রধান প্রধান জায়গায় বিশেষ আলোকসজ্জা করা হয়। ইস্তাম্বুলের আয়া সোফিয়া মসজিদের ওপরে আলোকসজ্জার মাধ্যমে নগরটির বিজেতা ওসমানিয়া সুলতান মোহাম্মদ আল ফাতিহের ছবি প্রদর্শন করা হয়। আলোকসজ্জা করা হয় সম্পূর্ণ স্কাই ভিডিও ম্যাপিং প্রযুক্তির (Sky Video Mapping) মাধ্যমে। এ সময় ইস্তাম্বুল বিজয় ও সুলতান মোহাম্মদকে নিয়ে নির্মিত একটি স্বল্পদৈর্ঘ চলচিত্রও প্রদর্শিত হয় সেখানে।
এর আগে ১৪৫৩ সালে ওসমানিয়া সুলতান দ্বিতীয় মোহাম্মদ আল ফাতিহ শহরটি জয় করে ইসলামের ইতিহাসে অনন্য মর্যাদায় আসীন হন।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৪৫৩ সালের ৬ এপ্রিল থেকে ২৯ মে পর্যন্ত অবরোধের সম্মুখীন হয় আজকের ইস্তাম্বুল। এরপর চূড়ান্তভাবে শহরটি ওসমানিয়া সাম্রাজ্যের অধিকারে আসে।
বর্তমান তুরস্কের ইস্তানবুল নগরী একটি প্রাচীন শহর। তার প্রাচীন নাম কনস্টান্টিনোপল। আরবিতে কনস্টান্টিনোপল শব্দটিকে কুস্তুনতুনিয়া বলা হয়। মহানবী মোহাম্মদ সা: এ অঞ্চল বিজয়ে ভবিষ্যদ্বানী করেছিলেন। তাই এটি বিজয়ের জন্য মুসলিমরা অত্যন্ত আগ্রহী ও উৎসাহী ছিলেন। মহানবী সা: বলেন, ‘নিশ্চয়ই তোমরা কনস্টান্টিনোপল বিজয় করবে। ওই সেনাপতি উত্তম সেনাপতি হবে এবং ওই সেনাবাহিনী উত্তম সেনাবাহিনী হবে।’ (মুসনাদে আহমদ ৪/৩৩৫, হাদিস : ১৮৯৫৭; মুসতাদরাকে হাকেম : ৫/৬০৩, হাদিস : ৮৩৪৯; তাবারানি, হাদিস : ১২১৬)
১৪৫৩ সালের ২৯ মে মাত্র ২১ বছর বয়সে ওসমানিয়া সুলতান দ্বিতীয় মোহাম্মদ আল ফাতিহ রহ: এই শহর জয় করেন। তিনি ৮৩৫ হিজরির ২৭ রজব মোতাবেক ১৪৩২ সালের ৩০ মার্চ ওসমানিয়া সাম্রাজ্যের তৎকালীন রাজধানী ‘এদির্ন’ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন সাম্রাজ্যের ৬ষ্ঠ শাসক সুলতান দ্বিতীয় মুরাদ, মাতার নাম হুমা ওয়ালিদা খাতুন।
Discussion about this post