জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে ইভিএমে ভোটগ্রহণের পর নানা অনিয়ম ও ফলাফল প্রকাশে বিলম্বের পর যে বিতর্ক উঠেছে, তাতে সংশয় প্রকাশ করে বিশিষ্টজনরা বলছেন, নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার না করলেই ভালো।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের ডাকা সংলাপে অংশ নিয়ে বিশিষ্ট নাগরিকরা ইভিএম নিয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া জানান। মঙ্গলবার দুপুরে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। সংলাপে ৩৯ বিশিষ্ট নাগরিককে আমন্ত্রণ জানানো হলেও অংশ নেন ১৯ জন।
সংলাপে উপস্থিত ছিলেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সিপিডির বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মহিউদ্দীন আহমেদ, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফরাসউদ্দিন আহমেদ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রুবায়েত ফেরদৌস, আইন বিভাগের অধ্যাপক হাফিজুর রহমান কার্জন, লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমেদ ও সাবেক সচিব আব্দুল লতিফ মণ্ডল।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘বিনা টেন্ডারে কিভাবে ইভিএম এলো। ইভিএম নিয়ে একজনের এত উৎসাহ কেন, তা নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে। কোনোভাবে বড় পরিসরে ইভিএম ব্যবহার করা যাবে না।’
তিনি বলেন, ‘চাইলে ৫-১০ কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করতে পারে, তবে এটা না হওয়াই ভালো।’
সিপিডির ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, বলেন, ‘ইভিএমের ব্যবহার অত্যন্ত বিতর্কিত বিষয়। এটা থেকে দূরে থাকা ভালো। ইভিএম নিয়ে ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরও জটিল করতে দিতে পারে। ইভিএম ঝুঁকি নিয়ে ব্যবহার করা উচিত নয়।’
সিপিডির মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ইভিএম ব্যবহার করলেই প্রশ্নবিদ্ধ হবেন।’
মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ যন্ত্রে যে ম্যানুপুলেট করা যায় না-তা নিশ্চিত না করে ব্যবহার করা যাবে না।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফরাস উদ্দিন বলেন, ‘ইভিএম সব সময় বিতর্কিত। এটার সমাধান না করে ব্যবহার করা ঠিক নয়। জোরের সঙ্গে বলবো- ইভিএম ব্যবহার না করার জন্যে।’
সিইসি কাজী হাবিবুল আওয়াল ছাড়াও চার নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর, আনিছুর রহমান, রাশেদা সুলতানা এমিলি ও আহসান হাবীব খান সংলাপে অংশ নিয়েছেন।
Discussion about this post