লিবিয়ার ত্রিপলি ও আশপাশের এলাকা থেকে স্বেচ্ছায় দেশে ফিরতে ইচ্ছুক ৩০৯ জন বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে ফেরত আনা হয়েছে। আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে তারা দেশে পৌঁছান।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রত্যাবাসিত বাংলাদেশিদের মধ্যে বেশিরভাগই মানবপাচারকারীদের প্রলোভনে পড়ে সমুদ্রপথে অবৈধভাবে ইউরোপে যাওয়ার উদ্দেশে লিবিয়ায় প্রবেশ করেছিলেন। তাদের অনেকে লিবিয়াতে বিভিন্ন সময়ে অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার কর্মকর্তারা প্রত্যাবাসিত বাংলাদেশি নাগরিকদের বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান। জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তাদের এই দুর্বিষহ অভিজ্ঞতা সবার সঙ্গে বিনিময় করার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাদের অনুরোধ জানানো হয়।
এর আগে, লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, স্বেচ্ছায় দেশে প্রত্যাবর্তনে আগ্রহী ৩০৯ জন বাংলাদেশি নাগরিককে ৯ অক্টোবর বাংলাদেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে। প্রত্যাবাসিত এসব অভিবাসীরা ফ্লাই ওইয়া এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটের মাধ্যমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন।
দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ও মিনিস্টার (পলিটিক্যাল) কাজী আসিফ আহমেদ প্রত্যাবাসিত অভিবাসীদের দূতাবাস প্রাঙ্গণে বিদায় জানান। এ সময় দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) মো. রাসেল মিয়া এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স জানান, দূতাবাস দ্রুত সময়ের মধ্যে আরও দুটি ফ্লাইটের মাধ্যমে ছয় শতাধিক অভিবাসীকে দেশে প্রত্যাবাসনের জন্য লিবিয়া সরকারের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছে।
লিবিয়ার বিভিন্ন আটককেন্দ্রে এখনো অনেক বাংলাদেশি বন্দি আছেন। তাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, লিবিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা যৌথভাবে কাজ করে যাচ্ছে।