করোনায় ঝুঁকিপূর্ণ দেশের সঙ্গে সরাসরি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ রেখেছে কুয়েত। এতে করোনায় ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচিত দেশ থেকে যারা কুয়েতে প্রবেশ করতে চাচ্ছেন তারা সৌদি, তুর্কি, বাহরাইন হয়ে কুয়েতে যাচ্ছেন।
যে সকল প্রবাসীরা কুয়েত সরকার অনুমোদিত ফাইজার, অক্সফোর্ড, মডার্না, জনসন টিকা নেওয়ার সনদ ও তথ্য দিয়ে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করছেন তারা কর্মস্থলে যোগ দিতে পারছেন। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় প্লেনের টিকিটের মূল্য বেশি হওয়ায় যাদের আকামার মেয়াদ শেষে পর্যায় কিংবা কুয়েতে নিজের ব্যবসা-বাণিজ্য রয়েছে তারাই ফিরছেন বেশি।
এদিকে, করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় কুয়েত ধাপে ধাপে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু করছে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে। কোটা পদ্ধতিতে বিভিন্ন দেশ হতে প্রতিদিন ১০ হাজার যাত্রী প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও জোর গতিতে চলছে গণ টিকাদান কার্যক্রম। স্বাভাবিক হতে চলেছে কুয়েতরে জীবন যাত্রা।
তুর্কি ট্রানজিট হয়ে কুয়েতে প্রবেশ করা প্রবাসী মোহাম্মদ সেলিম জানান, দেশে গিয়ে করোনার কারণে আটকে পড়া প্রবাসীদের অবস্থা অনেক করুণ। দেশে তাদের উপার্জন নেই। তাই বাংলাদেশ থেকে অনেক প্রবাসীই এখন কুয়েতে ফিরছেন। তবে সরাসরি ফেরা যাচ্ছে না। সৌদি, তুর্কি, বাহরাইন হয়ে আসতে হচ্ছে।
সাঈদুল মোল্লা নামের আরেক জন প্রবাসী জানান, ৭ মাস দেশে আটকে ছিলাম। সেপ্টেম্বরের ১০ তারিখে আমার আকামার মেয়াদ শেষ। অনেকেই আমার মতো অবস্থায় আছেন। তাই প্লেনের টিকিটের মূল্য দিয়েই কুয়েতে ফিরতে হচ্ছে।
Discussion about this post