কথায় আছে রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন! প্রবাসী সোহেল হত্যা, ঘাতক স্ত্রী শিউলির কারাবাস আর তাদের দুই অবুঝ সন্তানদের নিষ্পাপ অপলক চাহনি অনিশ্চিত ভবিষ্যতের গন্তব্য। কেউ কি পারবে তাদের পিতৃত্বের ভালোবাসা দিতে কেউ কি আছে মায়ের মমতায় আগলে রাখবে! নিঃসন্দেহে কেউ নেই!
আমাকে একটি প্রশ্ন গত সপ্তাহ ঠিক ভাবে ঘুমোতে দেয়নি “দুজন মানুষ তাদের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করেছে করছে কিন্তু অবুঝ শিশুদের কি হবে! উত্তর হয়তো কারো জানা নেই!
পরকিয়া,হত্যা ও শিউলির জবানবন্দী অবুঝ শিশুদের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ
কেউ
২৪ আগস্ট আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে শিউলি, জবানবন্দিতে বলেছে “গত ১৪ সালে বিয়ে হয়। ১৬ তে জানতে পারলাম সোহেলের সাথে দুবাইতে এক মেয়ে সাথে সম্পর্ক আছে। সে দেশে আসলেও সেই মেয়ের সাথে যোগাযোগ রাখতো। আমার কাছে সে স্বীকার করতো না। এ নিয়ে প্রায় ঝগড়া হতো। মাঝে মাঝে সে আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিত। সংসার খরচের টাকা পাঠানো বন্ধ করে দিত। গত বৃহস্পতিবার ঘটনার রাতে ওই মেয়েকে নিয়ে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে সোহেল মৌখিকভাবে আমাকে তালাক দিয়ে আমার ও তার পরিবারের অনেককে ফোন করে। ওদের ফোনে বলে আমাকে সকালে দেওনা পাওনাসহ নিয়ে যেতে।এক সময় সোহেল আমকে সংসারের চাবি দিয়ে দিতে বললো। আমি তখন কি করবো বুঝতে পারছিলাম না। রাগে ক্ষোভে তাৎক্ষণিক হত্যার সিদ্ধান্ত নিলাম। সোহেল তখনও মোবাইল টিপাটিপি করছিল। বটি দিয়ে ঘাড় কোপ দিলে সে বসা থেকে মাটিতে পড়ে যায়।”
এই হলো তার ববক্তব্য, তবে ঘটনার এপিঠ জানা হলেও ওপিঠ জানা হয়নি আর সম্ভবও নয় কারন সোহেল আর নেই।
এপিঠ ওপিঠ জানলে হয়তো বিবরণ ভিন্ন কিছুও হতে পারতো। হয়তো শিউলি সত্য নয়তো মিথ্যা।
যদি ধরে নিই শিউলি সত্য, তাহলে কিছু প্রশ্ন দাড়ায়
> যদি পরকিয়ায় আসক্ত হয়ে থাকে তাহলে এর সমাধানের পথে না হেটে হত্যার অনুমোতি কে দিলো!
> কতটা নিষ্ঠুর হলে স্বামীর খেয়ে পরে তাকেই হত্যা করে, এরপরও সে কতখানি সত্য বলছে বা বলবে!
> প্রবাস জীবনে কাজের ক্ষেত্র সবার জন্য উন্মুক্ত বিশেষত দুবাই সেখানে কারোসাথে চলাফেরা করলে বা কোন প্রয়োজনে কথা হলে সে কি পরকিয়া প্রেমিকা হয়ে যাবে!
> তার ভাষ্য মতে তালাকের পর হত্যা,হয়তো তালাক দেয়ায় বাধ্য করে সোহেলের সম্পত্তির লোভেও হত্যা করবেনা তার কি প্রমাণ আছে!
প্রবাসীদের সাথে এমন ঘটনা নিত্যই হচ্ছে, শিউলির বক্তব্য ও বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন এবং এ ক্ষেত্রে আমার কাছে তার বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়। কারন নিয়মিতই প্রবাসীরা এমন অসংখ্য সমস্যার সম্মুখীন হয়। সোহেল হত্যার দুদিন আগের সোহেলের বন্ধুর কাছে প্রেরিত তার একটি কল রেকর্ড এর তথ্য মতে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে ফ্লাইট সাভাবিক না থাকা সত্বেও দেশে গিয়েছিলো। সে কল রেকর্ড এ বার বার বলেছে ★”জরুলি প্রয়োজনে দেশে এসেছে ” কিন্তু কি সেই জরুলি প্রয়োজন তা এখনো অজানা!
হয়তো শিউলির কোন অজানা অপরধ, যা সোহেল অবগত হয় আর তার মনমালিন্য থেকে হত্যা! ঘটনা এমনটাও হতে পারে
প্রবাসীদের সাথে ঘটে যাওয়া পূর্ব অবিজ্ঞতা এটাই বলে!
ঘটনা যা হোক এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি আমরা আর চাইনা, দেখনে চাইনা কোমলমতি শিশুদের নিস্তব্ধ অপলক চাহনি।
আশরাফুল ইসলাম
সংযুক্ত আরব আমিরাত
দুবাই,২৫ আগস্ট ২০২১ ইং।
Discussion about this post