ঈদের আগে প্রবাসীদের পাঠানো আয়ে বড় প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এর ওপর ভর করেই বাংলাদেশ ব্যাংকের বিদেশি মুদ্রার মজুত প্রথমবারের মতো ৪৫ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ৫০০ কোটি ডলার অতিক্রম করেছে। সোমবার দিন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৫১০ কোটি ডলার।
বিশ্বজুড়ে করোনার প্রকোপের মধ্যে দেশের বাইরে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা বেশি বেশি টাকা পাঠানো শুরু করেছেন। বিদায়ী এপ্রিলে প্রবাসীরা সব মিলিয়ে ২০৬ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ ১৭ হাজার ৫১০ কোটি টাকা। গত বছরের এপ্রিলে দেশে এসেছিল ১০৯ কোটি ডলার। আর মে মাসের প্রথম দুই দিনে আয় এসেছে ১৫ কোটি ৪০ লাখ ডলার। এর ফলে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বেড়ে ৪৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।
২০১৯-২০ অর্থবছরে সরকার ২ শতাংশ প্রণোদনা ঘোষণা করার পর থেকেই বৈধ পথে প্রবাসী আয়ে গতি আসতে থাকে। অবৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানো কমে যায়। করোনার মধ্যে প্রবাসী আয়ে বড় ধরনের ধাক্কা লাগার আশঙ্কা করা হলেও তেমন প্রভাব পড়েনি।
এখন সরকারের ২ শতাংশের সঙ্গে অগ্রণী, রূপালী, ইসলামী ব্যাংকসহ আরও বেশ কয়েকটি ব্যাংক বাড়তি ১ শতাংশ প্রণোদনা দিচ্ছে। আবার মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) বিকাশের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকার বেশি এলেও সরকারি ২ শতাংশের সঙ্গে অতিরিক্ত ১ শতাংশ প্রণোদনা মিলছে। সব মিলিয়ে বৈধ পথে প্রবাসী আয় আসা বেড়েছে।



























