প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাওলানা ড. গোলাম রাব্বানীর লেখা ছেপেছে ভারতের একটি গবেষণাপত্র।
ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর প্রমোশনাল উর্দূ বা উর্দূভাষা বিকাশ পরিষদ নামে ভারতের এ প্রতিষ্ঠান থেকে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে ছেপেছে লেখাটি। লেখাটির বিষয়বস্তু ছিলো ‘বাংলাদেশে উর্দু ভাষা ও সংস্কৃতি’। ‘ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর প্রমোশনাল উর্দূ’ ভারতের একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। তারা প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন লেখকের কাছ থেকে উর্দূ ভাষা বিষয়ে গবেষণা প্রবন্ধ সংগ্রহ করে লেখা ছেপে থাকেন। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশী অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উর্দূ বিভােগের প্রধান ড. গোলাম রাব্বানীর লেখা স্থান পেয়েছে এবারের গবেষণা পত্রে।
এ বিষয়ে ড. রাব্বানী আওয়ার ইসলামকে জানান, গত ২০১৯ সালে গবেষণা প্রবন্ধটি জমা দিয়েছিলাম ভারতের এ প্রতিষ্ঠানের কাছে। তারা এটাকে ছেপেছে ২০২০ সালে। আর আমি হাতে পেয়েছি চলতি বছরের (২০২১ সালের) ২৯ জানুয়ারি।
প্রবন্ধে কোনদিক নিয়ে আলোচনা করেছেন? জানতে চাইলে এ লেখক বলেন, বাংলাদেশে উর্দূ ভাষা চর্চা ও সংস্কৃতির দিকটিই প্রাধান্য পেয়েছে প্রবন্ধে। বিশেষত বাংলাদেশে যারা উর্দূ ভাষায় এখানো কথা বলেন, যেমন বিহারী, দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় মাদরাসাগুলোতে এখনো উর্দুতে পাঠদান করানোর বিষয়টি, বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের একটি ঈদের গান, ‘ও মন রমজানেরই রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’- এ গানটিতে অসংখ্য উর্দূ শব্দের ব্যবহার ইত্যাদি বিষয় স্থান পেয়েছে গবেষণার মূল প্লট হিসেবে। আবার দেখা যায় দেশের ওয়াজ মাহফিলগুলোতে এখনো অসংখ্য উর্দূ শের বা কবিতা পাঠ করা হয়। সেটিও ছিলো আলোচনায়। এছাড়া আরও অসংখ্য বিষয় উঠে এসেছে এ গবেষণা প্রবন্ধটিতে।
ভারতের এ গবেষণাপত্র ছাড়া আরও কিছু গবেষণা পত্রে ড. গোলাম রাব্বানীর গবেষণা প্রবন্ধ স্থান পেয়েছে। যেমন কাশ্মীর ও বোম্বাই থেকে ছাপা হওয়া উর্দু ভাষার গবেষণাপত্রে স্থান পেয়েছে তার লেখা।
কথা প্রসঙ্গে তিনি জানান, আমরাও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২০ সালের ২৭-২৮ জানুয়ারি একটি আন্তর্জাতিক ভাষা সেমিনার করেছিলাম। যার শিরোনাম ছিলো ‘২১ শতকের উর্দূ সাহিত্য ও চলমান প্রেক্ষাপট’। যেখানে আমরা বিদেশীদের ইনভাইট করেছিলাম।
এছাড়া ভারতের একাধিক ভাষা সেমিনারে অংশ নিয়েছেন তিনি। পাঠ করেছেন উর্দূতে লেখা নিজের প্রবন্ধ। এছাড়া আরও অসংখ্য জায়গায় উর্দু ভাষার উপর একাধিক প্রবন্ধ, ছোটগল্প, আফসানা ছাপা হয়েছে বাংলাদেশী এ আলেম লেখকের।
বিখ্যাত এ আলেম কাজ করেছেন বাংলাদেশের জাতীয় ও মাসিক অসংখ্য ম্যাগাজিনে। তন্মেধ্যে মাসিক আদর্শনারী, মাসিক কাবার পথে ও মাসিক রাহমানী পয়গাম অন্যতম। এছাড়া এ শিক্ষাবিদ আলেম শিক্ষকতা করেছেন, রাজধানীর মুহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া ও জামিয়া আরাবিয়া মাখজানুল উলুম মাদরাসায়।
Discussion about this post