নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ আরও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- নজরুল ইসলাম (৫০) ও শেখ ফরিদ (২১)।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তাদের মৃত্যু হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শ্বাসনালীসহ শরীরের বেশিরভাগ পুড়ে যাওয়ায় তারা সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় ছিলেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩১ জনে। চিকিৎসাধীন আরও পাঁচজনকেও শঙ্কামুক্ত বলছেন না চিকিৎসকরা।
বার্ন ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্তলাল সেন বলেন, নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় দগ্ধ নজরুল ইসলাম বিকেল ৪টায় ও শেখ ফরিদ পৌনে ৫টায় মারা যান। চিকিৎসাধীন কাউকেই ঝুঁকিমুক্ত বলা যাচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, মৃত নজরুল ইসলামের শরীরের ৯৪ শতাংশ ও শেখ ফরিদের ৯৩ ভাগ পুড়ে গিয়েছিল। দুই-তিনদিন ধরে তারা খেতেও পারছিলেন না। এর মধ্যে বুধবার রাত থেকেই তাদের অবস্থার আরও অবনতি হতে শুরু করে।
বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন পাঁচজনের মধ্যে মো. ফরিদের ৫০, আবদুল আজিজের ৪৭, কেনান হোসেনের ৩০, আমজাদ আলীর ২৫ ও মো. সিফাতের ২২ ভাগ পুড়ে গেছে। চিকিৎসকরা জানান, শরীরের ৪০ ভাগ বা তার বেশি পুড়ে গেলে সাধারণত তাকে সারিয়ে তোলা কঠিন হয়ে পড়ে। অনেক সময় শরীর কম পুড়লেও শ্বাসনালী ক্ষতিগ্রস্ত ও ডিপ বার্ণের (গভীরভাবে পুড়ে যাওয়া) কারণে রোগীর মৃত্যু হয়। নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় সবারই শ্বাসনালী পুড়ে যাওয়ায় কেউ শঙ্কামুক্ত নন। এ ঘটনায় দগ্ধদের মধ্যে শুধু মো. মামুন নামে এক যুবক হাসপাতাল ছেড়েছেন। তার শরীরের প্রায় ১৫ ভাগ পুড়ে গিয়েছিল। চিকিৎসায় অনেকটা সেরে ওঠায় সোমবার তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
৪ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম তল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে এশার নামাজ শেষ হওয়ার পর ঘটে গ্যাস-বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ড। এতে মসজিদে নামাজ আদায়রত সবাই দগ্ধ হন।
Discussion about this post