তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান বলেছেন, তরুণ অবস্থায় আমার সবচেয়ে বড় স্বপ্ন ছিল আয়াসোফিয়াকে পুনরায় মসজিদ রূপে ফিরিয়ে আনা। এই স্বপ্নের বাস্তবায়নে আমি খুবই আনন্দিত ও অবিভূত। এই সিদ্ধান্তটিকে কারো রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা উচিত নয়। কেননা, আয়াসোফিয়াকে পুনরায় মসজিদ রূপে ফিরিয়ে এনে তাতে নামাজ আদায় করা, বর্তমান সরকার ও তুর্কি জনগণের বহুকালের হৃদয়ক্ষরিত আর্তী।
গত শুক্রবার (১৭জুলাই) জুমু’আর নামাজ আদায়ের পর সাংবাদিকদের এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই কথা বলেন।
এরদোগান বলেন, ইবাদাতের উদ্দেশ্যে আয়াসোফিয়াকে পুনরায় উন্মুক্ত করা হলো তার (আয়াসোফিয়া) বন্দীদশা থেকে মুক্তিলাভ। দীর্ঘ ৮৬ বছর পর এটিকে জাদুঘর থেকে পুনরায় মসজিদে রূপান্তর করা তুরস্কের অন্যান্য সাধারণ অধিকারগুলোর মধ্যে অন্যতম। তাছাড়া এটি (পুনরায় মসজিদে রূপান্তর করণ) বর্তমান তুর্কি জনগণের একটি প্রাণের দাবি। আয়াসোফিয়ার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যে সমালোচনা ও বিরোধিতা করছে আমরা তাতে মোটেও বিচলিত নয়। আমাদের কাছে তাদের বিরোধিতার কোনো গুরুত্ব নেই।তিনি বলেন, আগামী শুক্রবার (২৪ জুলাই) আয়াসোফিয়া মসজিদে অনুষ্ঠিতব্য জুমু’আর নামাজে আমন্ত্রিতদের একটি তালিকা প্রস্তুত করতে ধর্মমন্ত্রনালয়ের প্রধানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ওই জুমু’আর জামাতে সর্বোচ্চ ১৫০০ মুসল্লীকে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হবে। এছাড়াও করোনা পরিস্থিতিতে দুরত্ব বজায় রেখে আয়াসোফিয়া মসজিদের বাহিরেও অন্যান্যদের জন্য জামাতে অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করে দেওয়ার ইঙ্গিত দেন তিনি।
এরদোগান বলেন আয়াসোফিয়াকে মসজিদ রূপে ফিরিয়ে আনা হলো ইতিহাসের একটি ঋণ যা বহু বছর যাবত আমাদের কাঁধে চেপে ছিল। আলহামদু লিল্লাহ, আয়াসোফিয়াকে মসজিদ রূপে ফিরিয়ে দিয়ে আমরা সম্মিলিতভাবে ইতিহাসের ঋণ শোধ করতে পেরেছি। এটি শুধুমাত্র তুরস্কের জন্য নয় বরং গোটা মুসলিম বিশ্বের জন্যই একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।

























