কৃতজ্ঞতা ইহসান বিশ্বাস সবকিছুই মহান আল্লাহর জন্য । যিনি তোমাদের মধ্যে থেকে তোমাদের জন্য স্ত্রীদেরকে সৃষ্টি করেছেন ।
দরুদ ও সালাম মহানবী সাঃ ‘র উপর নাজিল হোক । যিনি তাঁর স্ত্রীদের প্রতি ছিলেন বিশ্বস্ত অঙ্গীকারবদ্ধ । শান্তি অবতীর্ণ হোক তাঁর পরিবার রাঃ, সাহাবীবৃন্দ রাঃ, তাবেঈনগণ রাঃ সহ সমগ্র মুসলিম জাতির উপর ।
আল্লাহ বলেন “ অঙ্গীকার পালনকারী, সুখে দুঃখে ও যুদ্ধের সময়ে ধৈর্যশীল লোকেরা হচ্ছে সত্যবাদী ও পরহেজগার ।”
সূরা আল বাক্বারা ১৭৭
আজকের খোৎবার বিষয় হলো স্ত্রীদের প্রতি বিশ্বস্ত ও যত্নশীল ও অঙ্গীকার নিয়ে । তারা হলেন সন্তানদের মা । একটি সুখী পরিবারের ভিত্তি ।
আল্লাহ বলেন “ তাঁর নিদর্শন সমূহের অন্যতম হচ্ছে যে তিনি তোমাদের মধ্যে থেকে তোমাদের স্ত্রীদেরকে সৃষ্টি করেছেন । যাতে করে তোমরা তাদের কাছে শান্তি লাভ করো । তিনি তোমাদের উভয়ের মধ্যে ভালোবাসা ও রহমত ঢেলে দিয়েছেন । “
সূরা আর রোম ২১
মনে রাখতে হবে যে তারা তোমাদের কাছ থেকে কঠিন প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করেছে ।”
সূরা আন নিসা ২১
মহানবী সাঃ বলেছেন “ স্বামী যেনো তার স্ত্রীকে ঘৃণা না করে । স্ত্রীর একটি দিক পছন্দ না হলে তার আরেকটি দিক পছন্দ হয়ে যাবে ।”
المفاتيح في شرح المصابيح ٧٩/٤
মহানবী সাঃ এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন “ আমি আয়েশা রাঃকে সবচে’ বেশী ভালোবাসি ।”
ছহীহুল বোখারি
ছহীহ মুসলিম
আল্লাহ বলেন “ তোমরা স্ত্রীদের সাথে উত্তমরুপে বসবাস করো ।”
সূরা আন নিসা ১৯
স্ত্রীদের সাথে কেমন আচরণ করতে হবে তার সবকিছুই জেনে নেবেন মহানবী সাঃ ‘র জীবন থেকে । তিনি তার সম্মানিয়া স্ত্রীদের সাথে কিভাবে জীবন যাপন করেছেন, তা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করুন ।
নিজের স্ত্রী রেখে বেগানা মহিলার দিকে যাবেন না । হারাম কাজ থেকে দূরে থাকুন ।
আল্লাহ বলেন “ তোমরা যেনা ব্যাভিচারের ধারে কাছেও যাবেনা । কেননা এসব জঘন্য ও খুব খারাপ পথ ।”
সূরা আল ইসরা ৩২
যাদের একাধিক স্ত্রী রয়েছে, এমতাবস্থায় কোন একজনের প্রতি সম্পূর্ণ ঝুঁকে পড়বেনা । অন্যদেরকে ঝুলিয়ে রাখার মতো করে ।
সূরা আন নিসা ১২৯
আমিরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা ওসমান রাঃ স্ত্রীর অসুস্থতার সময়ে পুরো সময় জুড়ে তার পাশে থেকে স্ত্রীর খেদমত করেছিলেন । মহানবী সাঃ তাকে বীর আখ্যায়িত করেন এবং অফুরন্ত কল্যাণের সু সংবাদ দেন ।”
সুনানে তিরমিজি ৩৭০৬
ছহীহুল বোখারি ৩৬৯৮
একাধিক স্ত্রীদের মাঝে সমতা পালনে ব্যর্থ স্বামী কেয়ামতের দিন বিকলাঙ্গ হয়ে উঠবে ।” কঠিন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিশ্বনবী সাঃ ।
সুনানে আবু দাউদ ২১৩৩
আল্লাহ বলেন “ তোমরা স্বামী স্ত্রী পারস্পরিক অনুগ্রহের কথা ভুলে যেয়োনা ।”
সূরা আল বাক্বারা ২৩৭
স্ত্রীদেরকে ত্যাগ করতে হলে ইনসাফ করিও ।
সূরা আত তালাক ২
মহানবী সাঃ বলেছেন “ আমাকে খাদিজা রাঃ’র মহব্বত দান করা হয়েছে ।”
ছহীহ মুসলিম ২৪৩৫
প্রিয় রসুল সাঃ আরো বলেন “ খাদিজা রাঃ ( উম্মুল মুসলিমীন ) আমার উপর ঈমান গ্রহণ করেন যখন জাতি আমাকে অস্বীকার করেছিলো । তিনি আমাকে সত্যায়ণ করেন যখন জাতি আমাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছিলো । তিনি আমাকে তাঁর সমস্ত সম্পদের মালিক বানিয়ে দেন যখন জাতি আমাকে বণ্চিত করেছিলো । আল্লাহ আমাকে তাঁর মাধ্যমে সন্তান দান করেন এবং অন্য স্ত্রীদের ঘরে দেননি ।”
মুসনাদে আহমদ ২৪৮৬৪
মহানবী সাঃ বলেছেন “ উত্তম অঙ্গীকার ঈমানের অংশবিশেষ ।”
ছহীহুল বোখারি ৬০০৪
উত্তম স্ত্রীদের সম্পর্কে আল্লাহ বলেন “ তাদের ( স্বামীদের ) তারা, বাপ দাদারা, স্ত্রীগণ, সন্তানদের মধ্যে সৎ আমলকারীরা চিরস্থায়ী জান্নাত সমূহে প্রবেশ করবে । ফিরিশ্তারা প্রতিটি দরজা দিয়ে তাদের কাছে আসবে । “
সূরা আর রা’দ ২৩
ইয়া আল্লাহ ! আমাদের স্ত্রীদেরকে কবুল করুন । তাদের হক্ব ও অধিকার আদায়ে আমাদেরকে তাওফিক দান করুন । আমাদের সবাইকে ক্ষমা করুন ।
আমাদের মা বাবাদেরকে মাফ করে দিন এবং তাদেরকে জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুন । আমীন ইয়া রব ।
Discussion about this post